এমপিওর কাগজ হারিয়েছেন অথবা এমপিওতে ছয় মাসের বেশি গ্যাপ থাকাসহ বিভিন্ন কারণে এককালীন অবসর সুবিধাবঞ্চিত রয়েছেন হাজার হাজার শিক্ষক। তবে তাদের জন্য সুখবর হয়ে এসেছে বেসরকারি শিক্ষক- কর্মচারি অবসর সুবিধা বোর্ডের বোর্ড সভার একটি সিদ্ধান্ত। বুধবার (২৮ মার্চ) বেসরকারী শিক্ষক-কর্মচারি অবসর সুবিধা বোর্ডের বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত হয়, কাগজের সমস্যা বা এমপিওর বিরতিজনিত সমস্যার কারণে যে সব শিক্ষক-কর্মচারিরা অবসরের টাকা পায়নি তারা সবাই অবসরের টাকা পাবেন। এই সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় দশ হাজার শিক্ষক-কর্মচারী উপকৃত হবেন।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো: সোহরাব হোসাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন বোর্ডের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ শরীফ আহমদ সাদী। তিনি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ২০০৫ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড আইনের বিধান অনুযায়ী এমপিওতে ৬ মাসের অধিক গ্যাপ থাকার ফলে অথবা এমপিও সংশ্লিষ্ট কোন কাগজ হারিয়ে ফেললে অবসর সুবিধার টাকা পাবেন না। তিনি বলেন, সাময়িক বরখাস্ত, প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন, ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে দ্বন্দ্বসহ নানা কারণে এমপিওর ধারাবাহিকতা থাকে না অনেক শিক্ষকের। আবার ২৫/৩০ বছর আগেরকার এমপিওর কাগজ জমা রাখতে পারেন না অনেক শিক্ষক। কিন্তু আইনের মারপ্যাচে পরে পড়ন্ত বেলায় সেই অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-কর্মচারিরা অবসর সুবিধা বোর্ড থেকে অবসরের কোন সুবিধা পান না। অথবা ১০ লাখ পাওয়ার যোগ্য হলেও কাগজের ঘাটতির ফলে তিন লাখ টাকা পান। এই অমানবিক বিধানটি বাতিল হয় এবং সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় যে, কাগজ হারিয়ে গেলে বা গ্যাপ থাকলেও তারা টাকা পাবেন। যারা বঞ্চিত রয়েছেন তাদেরকে আবেদন করার অনুরোধ জানিয়েছেন সদস্য-সচিব শরীফ সাদী।
উল্লেখ্য, অবসর ও কল্যাণের টাকা পাইয়ে দেয়ার জন্য জেলায় জেলায় দালাল গজিয়েছে। তারা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সঙ্গে চুক্তি করে টাকা পাইয়ে দেয়ার। রাজধানীর পলাশীতে অবস্থিত ব্যানবেইস অফিসে ভাড়া হিসেবে থাকে অবসর ও কল্যাণ সুবিধার অফিস। সেই সুবাদে ব্যানবেইসের কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারিও দালালি করেন বলে দৈনিকশিক্ষা ডটকমের অনুসন্ধানে জানা গেছে।