গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ২৪ শিক্ষার্থীর আসন্ন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। ওই শিক্ষার্থীদের তথ্য চুরি ও ভুয়া ছবি ব্যবহার করে একটি নন-এমপিও বিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, ২০১৫ খ্রিষ্টাব্দে সুন্দরগঞ্জ আবদুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়। ২০১৭ খ্রিষ্টাব্দে অনুষ্ঠিত জেএসসি পরীক্ষায় তারা জিপিএ ৫ অর্জন করে। নবম শ্রেণিতে নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে রেজিস্ট্রেশনও করা হয়। ওই সাত শিক্ষার্থী আসন্ন এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের নির্ধারিত ফি জমা দিলেও শিক্ষা বোর্ডের পাঠানো চূড়ান্ত তালিকায় তাদের নাম আসেনি। একাধিক বিদ্যালয়ে তাদের নামে রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় বোর্ড কর্তৃপক্ষ ফরম পূরণ করতে দেয়নি।
একই কারণে আবদুল মজিদ সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের সাতজন, কাঠগড়া বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন, শিবরাম আলহাজ হোসেন স্মৃতি স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন, রামজীবন উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন, রামভদ্র উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন, জামালহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন, ফজলুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজন, গাইবান্ধা সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন, পানবাজার বিএল উচ্চ বিদ্যালয়ের দুজনসহ ২৪ শিক্ষার্থীর আগামী এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
অভিযোগ আছে, তথ্য চুরি ও ভুয়া ছবি ব্যবহার করে উপজেলার আবদুল কাদের আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ে মানবিক বিভাগে এসব শিক্ষার্থীর নামে নবম শ্রেণিতে রেজিস্ট্রেশন করা হয়। কিন্তু একই নামে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানেও তাদের রেজিস্ট্রেশন থাকায় বোর্ড তাদের ফরম পূরণ করতে দেয়নি। তবে ওই প্রতিষ্ঠানে ৯ জনের নামে ফরম পূরণ করা হয়েছে। একাধিকবার এমপিওভুক্তির আবেদন করেও সন্তোষজনক ফল করতে না পারায় বেতন হয়নি প্রতিষ্ঠানটির। তাই এমপিওভুক্তির শর্ত পূরণ করতেই এমন জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহ. মাহমুদ হোসেন মণ্ডল বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে দেখছি।’
দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক আবু হেনা মোস্তফা কামাল এর পুরো দায় প্রতিষ্ঠানপ্রধানের দাবি করে বলেন, ‘এসব শিক্ষার্থীর নামে একাধিক রেজিস্ট্রেশন হওয়ায় আমরা ফরম পূরণ করিনি। তবে তাদের মূল কাগজপত্রসহ আবেদন করা হলে ফরম পূরণ করে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।’