বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার নসরতপুর হাই স্কুলে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নিয়মনীতি মানা হয় না। পাবলিক এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের নির্বাচনী পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হওয়া বাধ্যতামূলক। অথচ অর্থ গ্রহণের মাধ্যমে টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্যদের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ এবং এ পরীক্ষার ফরম পূরণে অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন মহলের মনিটরিং না থাকায় পাবলিক পরীক্ষায় অনিয়ম স্থায়ী হচ্ছে। আর ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা। নসরতপুর হাই স্কুল থেকে ২০২০ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য ১২৭ জন শিক্ষার্থী নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ১০১ জন শিক্ষার্থীই অকৃতকার্য হয়। বিজ্ঞান বিভাগে ৪১ জনের মধ্যে ১৯ জন, মানবিক বিভাগে ৭১ জনের মধ্যে ৬ জন এবং বাণিজ্য বিভাগে ১৫ জনের মধ্যে মাত্র ১ জন পাশ করে। কারণ হিসাবে শিক্ষার্থীদের দোষারোপ করা হয় এবং বিদ্যালয়টি এসএসসি পরীক্ষার্থী সংকটে পড়ে। পরে নিয়ম বহির্ভূত টাকা ও পুন পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। প্রতিজন পরীক্ষার্থী ২৩০ টাকা ফি দিয়ে নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এ পরীক্ষায় যারা ফেল করে তাদের কাছ থেকে আবারো ২০০ টাকা নিয়ে আবার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে তাদের পাস দেখানো হয়। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৭০ টাকার স্থলে ২১৩০ টাকা এবং বাণিজ্য ও মানবিক বিভাগে ১৮৬০ টাকার স্থলে ২০৬০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে। বিষয়টির প্রতি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আর্কষণ করছি।
লেখক: সাকলাইন লেনিন, আদমদীঘি, বগুড়া