২৮০ শিক্ষার্থীর মধ্যে অংকে ৩৮ জন পেয়েছেন শূন্য নম্বর। অনেকে পেয়েছে ০১, ০৫ ও ০৭ করে। এমনিভাবে পাস নম্বরের নিচে রয়েছে আরো ৯০ জন। সব মিলিয়ে এসএসসি টেস্ট পরীক্ষায় অংকে ফেল করেছে ১২৭ শিক্ষার্থী। ঘটনাটি ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর বহুমুখি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে। অংকে ফেল করার পরেও স্কুল কর্তৃপক্ষ পুনরায় টেস্ট পরীক্ষা নিয়ে তাদের এসএসসিতে ফরম পুরণ করিয়েছে।
বিষয়টি জানাজানির পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোশাররফ হোসেন বলছেন, বোর্ডের অনুমতি নিয়েই তাদের ফরম পূরণ করা হয়েছে। তিনি দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে বলেন, ভাবতেও পারিনি ১২৭ শিক্ষার্থী শুধু অংকে ফেল করবে। এ ব্যাপারে গণিতের শিক্ষকদের বার বার সতর্ক করা হয়েছিলো। তারপরও তারা মনোযোগী হয়নি। তাই শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক আরো বলেন, টেস্ট পরীক্ষায় শিক্ষার্থী অংকে ফেল করায় আমরা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাথে মিটিং করি। সেখানে অভিভাবকরাও উপস্থিত ছিলেন। পরে একটি রেজুলেশন করে বোর্ডের কন্ট্রোলারকে দিয়ে ফেলকৃত শিক্ষার্থীদের আবার অংকে টেস্ট পরীক্ষা নেয়া হয়। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন উত্তীর্ণ হয়। সব মিলিয়ে স্কুল থেকে ৩২৪ জন এসএসসির ফরম পুরণ করেছে বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সুশান্ত কুমার দেব দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, এবার এসএসসির ফরম পুরণ নিয়ে বোর্ডের কড়া নির্দেশনা ছিল। টেষ্টে একটি বিষয়ে ফেল করলেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়ার কথা না। আর যে বিষয়ে ছাত্ররা ফেল করবে সেই বিষয়ের শিক্ষকদের পানিশমেন্ট দেয়ার বিধান রয়েছে। তিনি আরো বলেন, যদি ফেল করা শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ করানো হয়ে থাকে তবে তার দায়ভার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষককেই নিতে হবে।