উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বৈন্যা রহিজ মোল্লা উচ্চ বিদ্যালয়ে এসএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণে নির্ধারিত বোর্ড ফির চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতিরিক্ত ক্লাস ও অনলাইনে আবেদনসহ শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের জন্য এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন, সভাপতি আব্দুল লতিফ।
শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জানান, শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফি বিজ্ঞান বিভাগে ১৯৭০ টাকা, কলা ও বাণিজ্য বিভাগে ১৮৫০ টাকা থাকলেও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে জোর করে নেওয়া হচ্ছে ২৫০০ থেকে ২৬০০ টাকা। তাদের দেওয়া হচ্ছে না কোনো রসিদ। [inside]
রসিদের কথা বললে শিক্ষকরা বলছেন তিন-চার দিন পর দেওয়া হবে। শুধু বালিয়াখোড়ার স্কুলটি নয়, ঘিওর উপজেলার আরো বেশ কিছু বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ করেছে।
শিক্ষার্থীরা ফরম পূরণে এই অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার প্রতিবাদ করায় শিক্ষকরা ছাত্রছাত্রীদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শিক্ষকরা বলছেন, ‘তোমরা কীভাবে পরীক্ষা দাও আমরাও দেখব।’
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেন অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমরা বোর্ডের নির্ধারিত টাকাই নিচ্ছি, বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে না।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল লতিফ জানান, অতিরিক্ত ক্লাস ও অনলাইনে আবেদনের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। টাকার রশিদ শিক্ষার্থীদের না দেওয়ার কথা তিনি জানেন না।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এ বি এম আব্দুল হান্নান জানান, আমাদের কাছে কেউ এ ব্যাপারে লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি। শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফির চেয়ে বেশি টাকা নেওয়া হলে এ ব্যাপারে অবশ্যই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।