করোনাভাইরাস এক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে বাংলাদেশকে। লকডাউন পরিস্থিতিতে থেমে গেছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হবে, বলতে পারছেন না কেউ। যদি একজন করোনা রোগীও থাকে তাহলে পরবর্তী সময়ে আবার সংক্রমণ ঘটতে পারে। রোগটি ছোঁয়াচে। ভয়টা এখানেই।
এরই মধ্যে যদি করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য যথেষ্ট এন্টিবডি আমাদের শরীরে শুরু হয়ে যায় এবং ভাইরাসটি যদি তার আরএনএ (জিন) পরিবর্তন না করে আরও শক্তিশালী না হয়, তাহলে তা হবে বাংলাদেশের জন্য এক বিরাট সুসংবাদ। এতে জনজীবন ফিরে পাবে স্বাভাবিকতা। কিন্তু এরকম যদি না ঘটে তাহলে শিক্ষা ক্ষেত্রে কী হবে বা হতে পারে, সেই বিষয়ে কিছু পর্যবেক্ষণ ও মতামত উপস্থাপন করছি।
বদলে যেতে পারে শ্রেণি ব্যবস্থাপনা:
আমি যেহেতু মাধ্যমিক শিক্ষার সাথে সম্পর্কিত তাই প্রথমে এই দিকটি নিয়েই আলোচনা করতে চাই। আমরা এখন যারা বিদ্যালয়ে ক্লাসে গিয়ে শ্রেণি ব্যবস্থাপনা করি অর্থাৎ শিক্ষার্থীদের প্রতি বেঞ্চে বসার যে ব্যবস্থাপনা করি, তা বদলে যেতে পারে। এখন অধিকাংশ বিদ্যালয়ে পাঠদান করা হয় যেখানে একটি বেঞ্চে ৪-৫ জন করে শিক্ষার্থীরা বসে। যদি ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা না যায় আমাদের শিক্ষার্থীদের উপর ততদিন পর্যন্ত এভাবে বসা হয়ত আর নিরাপদ নাও হতে পারে শিক্ষার্থীদের। কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী ন্যূনতম ২ হাত দূরত্বে থাকতে হবে এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে।তাই একটি বেঞ্চে সর্বোচ্চ তিনজন বসানো হতে পারে যদি আমরা বেঞ্চে বসিয়ে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতে চাই। পরিস্থিতি যদি স্বাভাবিক না হয় তাহলে তাই করতে হতে পারে।
বদলে যেতে পারে পাঠদান পদ্ধতি:
বর্তমানে আমরা অংশগ্রহণমূলক পদ্ধতিতে পাঠদান করে থাকি। যেখানে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মাঝে শ্রেণিকক্ষেই পারস্পরিক সহযোগিতা সৃষ্টি হয়। কিন্তু এইভাবে পাঠদান হয়ত সীমিত হয়ে পড়তে পারে। যেভাবে আমরা একসাথে শিক্ষার্থীদের জোড়ায় কাজ বা দলীয় কাজ দেই, তাও হয়ে পড়তে পারে সীমিত। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার ও তা চালু না করা পর্যন্ত জোড়ায় ও দলীয় কাজ হতে আমাদের বিরত থাকতে হতে পারে।
এছাড়া পাঠদান পদ্ধতি আমূল বদলে গিয়ে তা হয়ে যেতে পারে অনলাইনভিত্তিক। এটা অবশ্য নির্ভর করবে আমাদের এদেশে করোনা পরিস্থিতির উপর। এই অনলাইনভিত্তিক শিক্ষা চালু করাও আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। কারণ এটি চালু করতে হলে আমাদের শিক্ষার্থীদের ন্যূনতম একটি স্মার্টফোন প্রয়োজন হবে। এজন্য সারা বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের বইয়ের বদলে দেয়া হতে পারে একটি করে স্মার্টফোন যাতে সব বই ইনস্টল করা থাকবে। বই অ্যাপও তৈরি হতে পারে। এজন্য সারাদেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক আরও বাড়াতে হবে এবং সব জায়গাকে 4G স্পিডের আওতায় আনতে হবে। দাম কমাতে হবে সকল ধরনের ইন্টারনেট সেবার। এটা একটা চ্যালেঞ্জ কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে আমাদের হয়তো ঐদিকেই যেতে হতে পারে।
বদলে যেতে পারে বিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা:
বর্তমানে অনেক বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম রয়েছে। একে আরও উন্নত করতে হবে। প্রতিটি বিদ্যালয়ের ক্লাসরুমগুলোকে বানাতে হবে ওয়াইফাই ক্ষমতাসম্পন্ন এবং উচ্চতর প্রযুক্তিসম্পন্ন, যা ভিডিও কনফারেন্সের উপযোগী। সেই লক্ষ্যে শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এজন্য বই ছাপানোর জন্য যে খরচ পড়ত, তা বরাদ্দ হতে পারে ক্লাসরুম ব্যবস্থাপনায়। শিক্ষকদের ট্রেনিংয়ের আওতায় নিয়ে এসে তাদেরকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে। করতে হবে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার। সেই লক্ষ্যে মনিটরিং সেল গঠন করা যেতে পারে। মানসম্পন্ন কনটেন্ট তৈরি এবং সকল বিষয়ের কনটেন্ট সম্পর্কিত একটি ওয়েবসাইট প্রণয়ন করা যেতে পারে অথবা বর্তমান শিক্ষক বাতায়নের ডেটাবেইজ ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করা যেতে পারে।
বদলাতে পারে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যব্যবস্থা:
বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয় থেকে স্বাস্থ্যবিষয়ক যে সকল কথাবার্তা ও প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেয়া হয় তার ধরন বদলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর জন্য করোনা টেস্ট হবে বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থী বাড়িতে থাকলেও এটা করতে হবে। এছাড়া বর্তমানে একটু জ্বর-সর্দি হলেও শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে আসে। কিন্তু এখন এটা অবশ্যই বন্ধ করা হতে পারে। কারণ যে কোনো শিক্ষার্থীর জ্বর-সর্দি হলেই তা করোনা নাও হতে পারে। কিন্তু অবশ্যই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাকে করোনা টেস্ট এবং বিদ্যালয়ে আসা থেকে বিরত রাখতে হবে। সকল শিক্ষার্থীর শারীরিক স্বাস্থ্য-পরীক্ষার কাগজপত্রের একটি ফাইলের প্রয়োজন হতে পারে। এতে শিক্ষক আগে থেকেই শিক্ষার্থীর অবস্থা জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবে। বিদ্যালয়ের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম অনেক বাড়াতে হবে। এজন্য নতুনভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার জন্য জনবল বৃদ্ধি করার প্রয়োজন পড়তে পারে। সকল ক্লাসরুম ও বিদ্যালয় আঙিনায় স্প্রে করতে হবে জীবানুনাশক স্প্রে। এটা বাধ্যতামূলক হতে পারে। এটা এডিস মশা বা অন্য কোনো ক্ষতিকর জীবাণু ধ্বংস করে বিদ্যালয়কে জীবাণুমুক্ত রাখবে। এর ফলে বাড়াতে হতে পারে বিদ্যালয়ভিত্তিক এমএলএস।
কি হতে পারে সামষ্টিক মূল্যায়ন ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পদ্ধতি:
যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হয় এবং শিক্ষার্থীরা যদি বিদ্যালয়ে আসতে না পারে তাহলে বিদ্যালয়ের পরীক্ষা এবং বিদ্যালয় ও বিদ্যালয়বহির্ভূত সকল প্রতিযোগিতা হয়ে পড়তে পারে অনলাইনভিত্তিক। বিতর্ক,গান, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতাগুলো অনলাইনে সহজেই নেতা যেতে পারে অথবা শারীরিক দূরত্ব রেখে এসব প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে পারে। কিন্তু এই বিশ্ব মহামারির সময় এসব সহ-পাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম বন্ধ রাখাই ভালো। অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক পরীক্ষা হতে পারে অনলাইনেই। ভিডিও কনফারেন্স পদ্ধতির মাধ্যমে এই অনলাইন পরীক্ষা নেয়া যেতে পারে। এজন্য সিলেবাস কমিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর মানসিক চাপ কমানো যেতে পারে। কমানো যেতে পারে প্রতি বিষয়ের মোট নম্বরের। এটা অর্ধেকে নির্ধারণ করা যেতে পারে। অর্থাৎ ১০০ নম্বরের পরীক্ষাগুলো ৫০ নম্বরে হতে পারে। বর্তমানে যেভাবে আমরা সামষ্টিক মূল্যায়নের (অর্ধবার্ষিক ও বার্ষিক)জন্য পরীক্ষা নেই সেখানে প্রতি বেঞ্চে দুজনই থাকে। কিন্তু এই পদ্ধতির বিপজ্জনক দিকও আছে। কারণ এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা খাতায় লিখে পরীক্ষা দেয়। এ অবস্থায় খাতা থেকে শিক্ষার্থীর দূরত্ব তিন ফুট না থাকায় কোনো করোনা আক্রান্ত শিক্ষার্থীর খাতা থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা। যারা খাতা ব্যবস্থাপনায় জড়িত থাকবে তারাই থাকবে ঝুঁকির মুখে। কাগজেও কয়েক ঘণ্টা বেঁচে থাকতে পারে করোনা ভাইরাস। তাই এই পদ্ধতি ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতেই পারে। এজন্য এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেবার আগে অবশ্যই সকল শিক্ষার্থীর করোনা টেস্ট করাতে হবে। এজন্য ভ্যাকসিন আবিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত অনলাইনভিত্তিক পরীক্ষা পদ্ধতিতে যেতে হতেও পারে। এটা বাস্তবায়নের জন্য জনবল বাড়াতে হবে বিদ্যালয়ভিত্তিক আইসিটি সেক্টরে। প্রতিটি বিদ্যালয়ে নিয়োগ দিতে হতে পারে বিদ্যালয়ের কাঠামো অনুযায়ী কম্পিউটার প্রোগ্রামার। অথবা পরীক্ষার প্রয়োজন এই শিক্ষাবর্ষে আর প্রয়োজন নাও পড়তে পারে। সারা বাংলাদেশের এই সংকটকালীন অবস্থা বিবেচনা করে নীতিনির্ধারনী মহল হয়তো বিবেচনা করতে পারে এই শিক্ষাবর্ষে সকল শিক্ষার্থীর অটো-প্রমোশন।
উন্নত করতে হবে বিদ্যালয়ভিত্তিক শিক্ষার্থীদের ডাটাবেইজ:
আইসিটি সেক্টরে এখনকার চেয়েও আরও উন্নত ডেটাবেইজ থাকবে প্রতিটি শিক্ষার্থীর। যাতে জমা থাকবে শিক্ষার্থীদের বাড়ির কাজ এবং দৈনন্দিন কাজকর্মের হিসাব। শিক্ষক অনলাইনেই দেখে নেবে তাদের বাড়ির কাজ। এজন্য প্রতি শিক্ষার্থীর হোয়াটসঅ্যাপ বা মেসেঞ্জার বা অন্য কোনো একাউন্ট বাধ্যতামূলক হতে পারে। শিক্ষার্থীদের তথ্য ম্যানুয়ালি সংরক্ষণ করেও অনলাইনভিত্তিক তথ্য জমা রাখার প্রয়োজন হতে পারে। ধারাবাহিক মূল্যায়ন বা এইসব পদ্ধতির চালু করা হবে নাকি হবে না তা এর ঐ সময়ের কার্যকারিতা অনুসারে প্রাধান্য দেয়া হবে। বিদ্যালয়ভিত্তিক যাচাইয়ের সুযোগ কমে যাওয়ায় কীভাবে তাদের আচার-আচরণের যাচাই হবে, তা নিয়ে আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থীদের আচরণ এক্ষেত্রে যাচাই করা যেতে পারে। যেহেতু শিক্ষার কাজ জ্ঞান পরিবেশন নয়, মূল্যবোধ সৃষ্টি তাই শিক্ষার্থীদের মূল্যবোধ সৃষ্টির প্রতি খেয়াল রাখতেই হবে। এ সম্পর্কে আরো বলতে চাই, এখন অনেক শিক্ষার্থীই বিশেষ করে নবম শ্রেণি থেকে শুরু করে অন্যদের ফেসবুক চালায়। এদের বিভিন্ন ফেসবুক কর্মকাণ্ড হতে পারে তাদের মূল্যবোধ যাচাইয়ের একটি মাপকাঠি, যা ধারাবাহিক মূল্যায়নে সংযুক্ত হতে পারে।
বিদ্যালয়ের সকল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য একটি ওয়েবসাইট থাকবে যা থেকে শিক্ষার্থীরা সহজেই তাদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সম্পর্কে অবগত থাকবে।
অনেকেই এই প্রস্তাব দিতে পারেন যে, সকল ছাত্রকে করোনা টেস্ট করিয়ে তাদের থেকে যাদের করোনা পজিটিভ থাকবে তাদের নিয়ে আলাদা করলেই তো বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু করা যায়। এটা খুব সুন্দর একটা প্রস্তাব। কিন্তু এই প্রস্তাবের একটা ক্ষতির দিক রয়েছে। কীরকম?
সকল শিক্ষার্থীদের যদি করোনা টেস্ট করিয়ে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করাতে হয় তাহলে এত বিশাল পরিমানে কিটের যোগান দিতে হবে সারা বাংলাদেশে।ধরে নিলাম সরকার সেই ব্যবস্থা করল? কিন্তু এর মধ্য দিয়ে যদি কোন কিট টেস্টে ফলস নেগেটিভ টেস্ট দেয়, তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। ফলস নেগেটিভ মানে হচ্ছে একটা টেস্ট করা হয়েছে,যা টেস্টে নেগেটিভ আসল কিন্তু আসলে তার করোনা পজিটিভ। এ অবস্থায় শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সকলে জানবে তার করোনা নেই। সে এটা বয়ে নিয়ে বেড়াবে। বিদ্যালয়ে ক্লাস করবে, খেলবে। এভাবে ছড়িয়ে দেবে স্কুলের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মাঝে। ডেকে আনবে ভয়াবহ বিপদ। এজন্য প্রত্যেককে অন্তত যদি দুবার টেস্ট করানো হয়, তবে সুফল পাওয়া যেতে পারে। এই পদ্ধতি চালু হলেও তিনজনের বেশি শিক্ষার্থী একটা বেঞ্চে বসানো যাবে না। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জন্য মাস্ক হবে বাধ্যতামূলক।
এছাড়াও আগামী শিক্ষাবর্ষে সিলেবাসে আসতে পারে পরিবর্তন। করোনা নিয়েই একটি অধ্যায় থাকতে পারে। বিদ্যালয়ভিত্তিক ড্রেসে অন্যান্য উপকরণের সাথে মাস্ক যুক্ত করা হতে পারে যাতে বাজারি মাস্কের ঝুঁকি কারো না থাকে।
অর্থাৎ শিক্ষাক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন আনা হতে পারে। এই দশক হবে তথ্যপ্রযুক্তির দশক। অবকাঠামোর প্রয়োজনীয়তা কমে যেতে পারে।
এসকল ধারণা কেবল তখনই প্রযোজ্য হবে, যখন করোনার ভ্যাকসিন বাংলাদেশে না আসে ততদিন। যদি ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়ে যায় তাহলে এর প্রয়োজনীয়তা কমে যাবে, তা নিঃসন্দেহেই বলা যায়। ভ্যকসিন আবিষ্কার আবার ফিরিয়ে আনবে আমাদের শিক্ষার্থীদের মাঝে প্রাণ-চাঞ্চল্য। জনজীবন ফিরে পাবে স্বাভাবিকতা। এমন একটি দোলাচল ভবিষ্যতের মুখোমুখিই দাঁড়িয়ে আছে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা।
লেখক : চিন্ময় ভট্টাচার্য, সহকারী শিক্ষক (ভৌতবিজ্ঞান), অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
[মতামতের জন্য সম্পাদক দায়ী নন।]