ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে মাদরাসার অফিস সহকারীর কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় একদল সন্ত্রাসী মাদরাসাছাত্রীর বাড়িতে হামলা চালিয়ে ছাত্রীসহ ৪ নারীকে মারধর ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রীর পরিবার রোববরা বিকালে গফরগাঁও থানায় অভিযোগ করেছে।
পরিবার ও থানায় দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার পোড়াবাড়িয়া আ. গনি দাখিল মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া আক্তারকে (১৪) একই মাদরাসার অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম (৪৭) দীর্ঘদিন যাবৎ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অফিস সহকারী রফিকুল মাদরাসায় একাধিকবার ওই ছাত্রীকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালায় ও মাদরাসায় আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করতো। অফিস সহকারীর ভয়ে ওই ছাত্রী দুই মাস যাবৎ মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করেছে। গত বৃহস্পতিবার ছাত্রীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি মাদরাসার শিক্ষকদের জানানো হয়। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার দুপুরে অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম ও তার সহযোগী মামুনের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী মাদরাসাছাত্রী সুমাইয়ার পোড়াবাড়িয়া গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। জুমা নামাজের সময় বাড়িতে কোনো পুরুষ লোক ছিল না।
রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা সুমাইয়াকে টেনে হিঁচড়ে বাড়ি থেকে তুলে নিতে চায়। এ সময় বাড়ির মহিলারা এগিয়ে আসলে রফিকুল, মামুন ও সন্ত্রাসীরা মাদরাসাছাত্রী সুমাইয়া, সুমাইয়ার মা শাহিদা (৪০), সুমাইয়ার নানী কামরুন্নাহার (৬০) ও সুমাইয়ার খালা খাদিজাকে (১৯) মারধর এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।
সুমাইয়ার মা শাহিদা জানায়, মাদরাসার কেরানি রফিকুল ও তার সন্ত্রাসীরা আমার বাড়িতে হামলা চালায়, মেয়েকে তুলে নিতে চায় ও লাঞ্ছিত করে। এখন বাড়িতে এসে হুমকি দিচ্ছে। এ ঘটনায় থানা-পুলিশ করলে আমার মেয়েকে এসিড মেরে জীবন নষ্ট করে দিবে। সন্ত্রাসীদের ভয়ে গত দুইদিন আমি বাড়ি থেকে বের হতে পারিনি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গফরগাঁও থানার ওসি (তদন্ত) মনিরুল ইসলাম বলেন, মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি, ছাত্রীর পরিবারকে লিখিত অভিযোগ দেয়ার পরামর্শ দিয়েছি।