একজন অফিস সহকারী ও একজন মেকানিকস চালাচ্ছেন লালপুর উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকায় অবস্থিত সরকারী টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট। বুধবার (১১ এপ্রিল) স্কুলটি পরিদর্শনে গিয়ে এমনই দৃশ্য দেখলেন নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ। মোট ১৪ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে ৮ জনকে প্রেষণে অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে। বাকি ৬ জনের একজন অসুস্থ, ৩ জন অনুপস্থিত। প্রতিষ্ঠানটিতে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও তাদের ক্লাস হয় না।
জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির মোট ১৬টি পদের সুপারিনটেনডেন্ট ও একজন জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টরের পদ খালি রয়েছে। বাকি ১৪টি পদের ৫ জন শিক্ষকসহ ৮ জন অনত্রে পেষনে দায়িত্ব পালন করছেন। একজন ইনস্ট্রাক্টর সুপারিনটেনডেন্টের দায়িত্বে থাকলেও তিনি অসুস্থ বলে প্রায় একমাস ধরে স্কুলে আসেন না। ২ জন হেলপার, একজন হিসাব সহকারী, একজন মেকানিকস ও একজন নৈশ প্রহরী কর্মরত থাকলেও তারা সকালে এসে ২/১ ঘন্টা স্কুলে থেকে বাড়ি চলে যান। ওদিকে ক্লাস হয় না বলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে এসে ফিরে যায়। যারা ভর্তি হতে আসে, তাদের ভর্তিতে নানাভাবে নিরুৎসাহিত করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ৩০ আগস্ট বস্ত্র পরিদপ্তরের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ ইসমাইল স্বাক্ষরিত এক পত্রে গোপালপুরে অবস্থিত টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট নাটোর জেলা সদরে স্থানান্তরের পূর্ব প্রস্তুতিমূলক সকল কাজ সম্পাদনের নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া কয়েকজন শিক্ষককে অন্যত্র বদলি করা হয়। এলাকাবাসীর দাবির মুখে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপে এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মির্জা আজমের নির্দেশে সে বছরই টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউটটি লালপুর থেকে নাটোর জেলা সদরে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত স্থগিত করা হয়।
টেক্সটাইল ভোকেশনাল ইন্সটিটিউট পরিদর্শনকালে নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য সাংবাদিকদের জানান, প্রায় ৩২ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নাটোর জেলা সদরে স্থানান্তরের অপতৎপরতা চলছিল। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মির্জা আজমের নির্দেশে তা ধুলিস্যাৎ হলেও বস্ত্রপরিদপ্তরের পরিচালক তা মেনে নিতে পারেননি। তাই তিনি শিক্ষকদের অন্যত্র প্রেষণে বদলি করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করতে চাচ্ছেন। এতে শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবন নষ্ট হতে চলেছে।
বুধবার (১১ এপ্রিল) নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদের স্কুলটি পরিদর্শনের সময় লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, থানা আওয়ামীলীগ সভাপতি আফতাব হোসেন ঝুলফু, সাধারণ সম্পাদক ইসাহাক আলী, সদস্য ফিরোজ আল হক ভুইয়াসহ আওয়ামীলীগের নেতা ও স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।