কোটা পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারসমর্থক ১৪ দলীয় জোটের নেতারা।
সোমবার (১৬ জুলাই) দুপুরে রাজধানী ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে চৌদ্দ দলের এক বৈঠক শেষে চৌদ্দ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম এ দাবি করেন।
তিনি বলেন, “কোটা সিস্টেম আমাদের সংবিধানে আছে। চৌদ্দ দলের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপর আস্থা রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি অনগ্রসর মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। কেবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে কমিটি কাজ করছে, আপনার ধৈর্য ধরুন। দীর্ঘ দিনের একটা সিস্টেমকে বদল করে আনতে একটু সময় লাগে।
“আমরা কেবিনেট সচিবের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিকে অনুরোধ করব- চৌদ্দ দলের পক্ষ থেকে অনুরোধ করতে চাই। দ্রুত আপনাদের কাজটি শেষ করে দ্রুততার সঙ্গে প্রতিবেদন দেন। কেউ যেন সুযোগ না নিতে পারে, কেউ যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে।”
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ আন্দোলনের এক পর্যায়ে গত ১১ এপ্রিল সংসদের বক্তব্যে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
নতুন করে আন্দোলন দানা বাঁধার প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি পর্যালোচনা করতে গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে প্রধান করে সাত সদস্যের এই কমিটি করে সরকার।
কিন্তু এর মধ্যে কোটা সংস্কারের আন্দোলন কর্মসূচিতে একাধিকবার হামলার ও নেতৃস্থানীয় কয়েকজনকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার করায় তাদের মুক্তির দাবিতে ও হামলার প্রতিবাদে কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।
নাসিম বলেন, “একটি ম্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে একটি মহল একের পর এক চক্রান্ত করছে। কোন ইস্যু না পেয়ে কোটা সংস্কার ইস্যু নিয়ে তারা মাঠে নেমেছে। সেই ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তারুণ্যকে উৎসাহিত করার জন্য কোটার ব্যপারটি নিয়ে কথা বলেছিলেন, এটা আপনারা জানেন।
“প্রধানমন্ত্রী যেহেতু একটি পর্যায়ে সংসদে বলেছিলেন কোটা রাখবেন না। তার পরেও তিনি একটি কমিটি করে দিয়েছেন, কেবিনেট সচিবের নেতৃত্বে। সেই কমিটি কাজ করছে।”
সংবাদ সম্মেলন শেষে জাতীয় পার্টি-জেপির সাধারণ সম্পাদক শেখ শহিদুল ইসলাম ধন্যবাদ বক্তব্যে বলেন,“আমরা কোটা সংস্কারে বিষয়টির যৌক্তিক সমাধান চাই। আমরা আশা করি, সমাধান পেয়ে যাবো। এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। “