করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশের স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। কিছু দেশে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা হলেও বিপাকে পড়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
এদিকে শরতে বিদ্যালয় নতুনভাবে চালু করার কথা ভাবছে নর্দার্ন আয়ারল্যান্ড। যদি শরতে তারা বিদ্যালয় চালু করতে পারে, সেটা হবে পাঁচমাস পর শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ফিরে আসার ঘটনা একেবারেই ভিন্ন ধরনের হবে।
বেলফাস্টের শিক্ষার্থীরা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে জানিয়েছেন, ক্লাসে ফেরাটাই হবে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। একজন নারী শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, দীর্ঘ দিন ধরে অনলাইনে টুকটাক ক্লাস চলছে। মহামারি শেষে শ্রেণিকক্ষে ফিরলেও আগের মতো অনুভূতি হয়তো থাকবে না।
আরেক শিক্ষার্থী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পড়াশোনায় ছেদ পড়েছে। সেক্ষেত্রে টার্গেট পূরণ করতে শিক্ষার্থীদের ওপর বাড়তি চাপ পড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, মহামারি শেষেও শিক্ষার্থীরা একে অপরের সঙ্গে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মেশার ঘটনা নাও ঘটতে পারে। কারণ, এই ভাইরাস সবাইকে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে শিখিয়েছে।
তার পরেও শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীদের অভাবের কথা বারবার বলেছেন। করোনা শেষে সবাই আবারো এক হওয়ার অপেক্ষায় আছেন।