গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার অপরাধ যেভাবে দমন করা প্রয়োজন - দৈনিকশিক্ষা

গুজব ছড়িয়ে মানুষ হত্যার অপরাধ যেভাবে দমন করা প্রয়োজন

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

সম্প্রতি দেশে ছেলেধরার গুজব ছড়িয়ে অচেনা নিরীহ নিরপরাধ মানুষকে সংঘবদ্ধভাবে হত্যার এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি দেশে সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি বিশেষ কোনো মহলের ইন্ধনে ঘটছে, নাকি অপরাধী ও ভাবাবেগতাড়িত মানুষের নির্বুদ্ধিতার নরবলি হচ্ছে আমাদেরই সমাজের কিছু নারী ও পুরুষ—বিষয়টি খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান একান্তই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায় নিবন্ধনটি লিখেছেন  মমতাজউদ্দীন পাটোয়ারী।

কিছুদিন আগে পদ্মা সেতু শিশুর মাথা বলি চাচ্ছে—এমন আজগুবি প্রচারণা নিয়ে মহলবিশেষ গ্রামগঞ্জে নেমেছিল। সেতু উদ্বোধনের আগে শিশুদের মাথা চায়—এমন একটি অযৌক্তিক ভিত্তিহীন বিশ্বাস মানুষ দীর্ঘদিন থেকে বিশ্বাস করে এসেছে। যদিও কোনো সেতুতে প্রকৃতই কোনো শিশুর মাথা কেটে দিতে হয়েছে, এমন কোনো প্রমাণ কেউ দেখেনি। তার পরও আমাদের সমাজে বহু আগে থেকে এমন একটি বিষয়কে নিয়ে শিশু অপহরণের বেশ কিছু ঘটনা অতীতে ঘটেছিল।

এসব ঘটনা যারা ঘটিয়েছিল তারা সংঘবদ্ধ চক্র, তারা অপহৃত শিশুদের কোথাও বিক্রি করেছিল কি না, কেউ জানে না। কিংবা তাদের কোথাও নিয়ে বেঁধে রেখেছিল কি না, সেটিও কেউ জানে না। তবে অপহরণের কিছু ঘটনা বহু আগে ঘটেছিল বলে গ্রামগঞ্জে প্রচার আছে। তবে সেই যুগে থানা-পুলিশ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তেমন সক্রিয় ছিল না, মানুষও এসব অপহৃত শিশুকে উদ্ধারে প্রশাসনিক সহযোগিতার তেমন কিছু পেত না। এ ধরনের বিষয় এখন থেকে ৫০, ৬০ বা ১০০ বছর আগের কথা।

তবে যেটি নির্দ্বিধায় বলা যায় যে সেই সময় শিশু অপহরণকারীরা মানুষের দৃষ্টি আড়াল করতেই নতুন কোনো সেতু উদ্বোধনের বিষয়কে দাঁড় করাত। এটি  ধারাবাহিকভাবে চলে আসা হাজার হাজার বছর আগে গোত্রীয় সমাজের কিছু অজানা অন্ধবিশ্বাসের একটি ছিল। তখন মানুষ যেকোনো বিশাল কিছুর সৃষ্টিকে অসম্ভব শক্তিশালী কোনো অবতারের শক্তিতে সম্ভব বলে বিশ্বাস করত।

সেই বিশ্বাস থেকেই দেবতাকে ভোগ দেওয়া, তার সন্তুষ্টি বিধান করা ইত্যাদি থেকে কেউ খাদ্য বিতরণ করত, কেউ বা প্রাণী বলি দিত। এসব রীতিনীতি একেবারেই অন্ধ কুসংস্কারাচ্ছন্ন, আদিম গোত্রীয় সমাজব্যবস্থার অংশ ছিল। অতিপ্রাকৃতিক যেকোনো বিষয়কে নিয়ে মানুষের অজ্ঞতা থেকেই নানা কল্পনা। সেই কল্পনা থেকেই স্বপ্নে দেখা নানা মিথ তথা কাল্পনিক গল্পের অবতারণা ঘটেছিল, যা গোত্রীয় সমাজব্যবস্থায় প্রতিপালিত বিষয়ে পরিণত হয়েছিল।

এমন অমানবিক শিশু হত্যাকাণ্ডের ধারাটি পরবর্তী যুগে মানুষ বুঝতে পেরে অনেকটাই পরিত্যাগ করেছে। কিন্তু সমাজে কুসংস্কারে বিশ্বাসী মানুষের সংখ্যা যেমন একেবারেই কমে যায়নি, আবার অনুন্নত সমাজ ব্যবস্থায় নানা অপরাধপ্রবণতায় জড়িয়ে থাকা কিছুসংখ্যক মানুষের অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে পুঁজি করে দেবতুষ্টির ধারণাটি নানাভাবে প্রচারের মাধ্যমে মানুষকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলে।

এখনকার মানুষের তো বিশ্বাস করার কোনো কারণ নেই যে একটি পদ্মা সেতু তার উদ্বোধনের আগে শিশুদের কাটা মাথা দেখে তবেই সেটি মানুষের চলাচলের জন্য নির্বিঘ্নে উন্মুক্ত করে দেবে! মানুষের প্রকৌশলগত জ্ঞান দিয়ে তৈরি করা এটি ইট, সিমেন্ট, রড ও নানা উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে গড়া সেতু মানুষের প্রাণ চাইবে কোন প্রাণশক্তি বলে? পদ্মা সেতু যত বিশালই হোক না কেন, এটি তো আমাদের প্রকৌশলীদের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির জ্ঞানে গড়া একটি বিশাল স্থাপনা।

এটি প্রতিনিয়ত মানুষ দেখছে। তার পরও যে মহলটি পদ্মা সেতুর জন্য ২০০ শিশুর মাথা প্রয়োজন—এমন গল্প ছড়িয়ে দেশে মানুষের মধ্যে একটি প্রচণ্ড ভীতি সৃষ্টি করতে নেমেছে, তারা পদ্মা সেতু নিয়ে মানুষের আগ্রহের দৃষ্টিকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়ার জন্যই শুধু নয়, একই সঙ্গে শিশু অপহরণ করে অভিভাবকদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়েরও একটি কৌশল এঁটেছিল।

তাদের এই গুজব এবং হীন চেষ্টাকে কাজে লাগিয়েছে আরেকটি মহল, যারা ছেলেধরা গুজব ছড়িয়ে বিভিন্ন স্থানে অচেনা-অজানা মানুষকে হত্যার মাধ্যমে দেশে একটি বড় ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টির উপলক্ষকে কাজে লাগাতে বিভিন্ন জায়গায় কাজ করছে বলে মনে হচ্ছে। আমাদের সমাজে এমন কিছু গোষ্ঠী রয়ে গেছে, যারা দেশের অস্থিতিশীলতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির মাধ্যমে তাদের হীন উদ্দেশ্য সাধন করতে মোটেও কুণ্ঠা বোধ করে না। এ ধরনের অপরাধীদের প্রচার-অপপ্রচারে অনেক সময় পা দিচ্ছে অনেক সাধারণ মানুষও; ভেতরে ঢুকে পড়ছে অপরাধীরা, যারা মুহূর্তের মধ্যে নিরপরাধ যেকোনো মানুষকে মেরে স্থান ত্যাগ করছে।

অনেক তরুণই এসব গণপিটুনিতে মুহূর্তের মধ্যে আবির্ভূত হচ্ছে, নিজেদের ‘বীরত্ব’ জাহির করে স্থান ত্যাগ করছে। অথচ তারা একবারের জন্যও ভাবছে না, যে অপরাধটি তারা করেছে সেটি আইনত দণ্ডনীয়। এখন কোনো মানুষের পক্ষেই আইন ভঙ্গ করে একেবারেই পার পাওয়া যায়, সেটি ভাবার তেমন কোনো কারণ নেই। যেকোনো ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই মোবাইল ফোনে গণপিটুনি ও হত্যাকাণ্ডের দৃশ্য ধারণ অনেকেই করে থাকে। সেটি ভাইরাল হতে খুব বেশি সময় লাগে না। সুতরাং এমন অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে খুব বেশি সময় লাগে না।

বিষয়গুলো যে অনেকেই জানে না, তা নয়। তার পরও কোথাও ছেলেধরা গুজব শোনার সঙ্গে সঙ্গেই অনেককেই দেখি মুহূর্তের মধ্যে গণপিটুনিতে অংশ নিতে ছুটে আসছে, একবারও জানার চেষ্টা করা হচ্ছে না, যাকে এতগুলো মানুষ একসঙ্গে আক্রমণ করছে সে কে, কেন তাকে আক্রমণ করা হচ্ছে, কেন তাকে মৃত্যু পর্যন্ত নিশ্চিত না হয়ে আঘাত বন্ধ করা হচ্ছে না—এসব প্রশ্ন সে নিজেও করছে না, অন্যরাও করছে না।

এটি দৃশ্যত একটি বর্বরতার মহোৎসব! সেই বর্বরতায় আমরা অনেক জায়গায় বেশ কিছু মানুষকে অংশ নিতে দেখছি। তাদের হাতে কেউ কেউ প্রাণ হারাচ্ছে আবার কেউ কেউ ভীষণভাবে আহত হচ্ছে। অথচ তাদের অনেকেই এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে জড়িত—এমন কোনো প্রমাণ কেউ খুঁজে পায়নি। এখন অনেকেই ব্যক্তিগত স্বার্থ উদ্ধারে ছেলেধরা নামে চিৎকার করে একটি অবস্থা তৈরি করার চেষ্টা করে, যেখানে শেষ পর্যন্ত অন্য একজন মানুষের হত্যা নিশ্চিত হয়ে যায়। এটি সমাজের নিয়ম-শৃঙ্খলা, আইন, সভ্যতা, মানবিকতা ইত্যাদিতে বিশ্বাসের ব্যাপক ঘাটতির বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা যায়।

আমাদের সমাজে মানুষের মধ্যে রাষ্ট্র ও সমাজের আইন-কানুন, নিয়ম-শৃঙ্খলা ইত্যাদির প্রতি আস্থাশীল মানুষের সংখ্যা এখনো যথেষ্ট নয়। অনেকে ব্যক্তিস্বার্থে রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে। কেউ কেউ পার পাওয়ার চেষ্টা করে, সবাই পারে—এমনটি নয়। তার পরও আমাদের সমাজব্যবস্থার অভ্যন্তরে নানা ধরনের বিশ্বাস-অবিশ্বাস, অন্ধত্ব, স্বার্থপরতা, ধান্ধাবাজি, অমানবিকতা ইত্যাদিতে আত্মসমর্পণ করে আছে—এমন মানুষের সংখ্যা মোটেও কম নয়।

এর কারণ হচ্ছে, শুধু প্রকৃত শিক্ষাই নয়, একটি মানসম্মত বিবেক দ্বারা পরিচালিত সমাজ গড়ার শিক্ষাব্যবস্থা, সাংস্কৃতিক, মানবিক ও বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ার মতো, মূল্যবোধ সমৃদ্ধ শিক্ষা ও সমাজব্যবস্থা, রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো গড়ে ওঠেনি। সে কারণে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে এখনো আমরা আধুনিক মানুষের চিন্তা-ভাবনায় জীবন যাপন করতে রাষ্ট্রের নাগরিক হিসেবে দায়িত্ব পালনের অবস্থানে খুব একটা দেখছি না। এর ফলে নতুন প্রজন্মও সেভাবে মহৎ আদর্শকে অনুসরণ করার উদাহরণ খুব একটা খুঁজে পাচ্ছে না। ফলে তারাও আধুনিক চিন্তাধারায় ব্যাপকভাবে বেড়ে ওঠার অবস্থানে উন্নীত হতে পারছে না। তারা পদাঙ্ক অনুসরণ করছে পূর্বপুরুষদেরই।

এখানেই বৃত্তে আবর্তিত আমাদের বৃহত্তর জনগোষ্ঠী। এই বৃত্ত ভাঙার জন্য আমাদের রাষ্ট্র ও সমাজকে আধুনিক শিক্ষা, সংস্কৃতি, মূল্যবোধ ও মানবিক সম্পর্কে বেড়ে ওঠার প্রয়োজনীয় শিক্ষাটি শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই নয়, সর্বত্র প্রসারিত করার ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। দুঃখজনক অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আমাদের সমাজের বৃহত্তর তরুণসমাজ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যেভাবে সময় ব্যয় করে, তাতে মৌলিক চিন্তাধারার লেখাপড়া ও বইপুস্তকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা অনেকটাই যেন ছিন্ন করে ফেলছে। এর ফলে বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চায় ও মানবিক গুণাবলিতে বিকশিত হওয়ার সুযোগ আমরা নিজেরাই সংকুচিত করে ফেলছি। অথচ আমরা উদ্ভূত বিশ্বপরিস্থিতির নানা জটিলতাকে কিভাবে যুক্তি ও বিবেক দ্বারা পরিচালিত হয়ে অতিক্রম করব, সে চিন্তা-ভাবনা ও খোঁজখবর রাখার উদ্যোগ ক্ষীণ হয়ে আসছে।

আমাদের দেশ ও সমাজকে মানুষের জন্য নিরাপদ করব, সেই গভীর ভাবনাগুলো যেন আমাদের থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এর অবসান হওয়া অবশ্যই জরুরি; কিন্তু সেটি আপনাআপনি হয়ে যাবে না। এর জন্য প্রয়োজন ব্যাপক পরিবর্তনশীলতার চিন্তা-ভাবনাকে রাষ্ট্র ও সমাজজীবনে নির্মোহভাবে চর্চা করা। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে, রাজনীতিকে আদর্শনির্ভর করতে হবে, সমাজব্যবস্থা থেকে কুসংস্কার ও অন্ধবিশ্বাস দূরীভূত করতে প্রয়োজনীয় জ্ঞানচর্চার সুযোগ সৃষ্টি করে এবং তা অব্যাহত রাখতে হবে। আমাদের ব্যাপকসংখ্যক তরুণ এখন উন্নত, আধুনিক, জ্ঞান ও দক্ষতা অর্জন করতে পারছে না।

তাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধরে রাখা, শিক্ষা-সংস্কৃতি, ক্রীড়া, সৃজনশীলতা, জীবনের নতুন উপলব্ধির সব ধরনের সুযোগের সঙ্গে তাদের পরিচিত করা অপরিহার্য। তাহলেই তারা নিজেদের খুঁজে নিতে পারবে। মানুষ হিসেবে তাদের অবস্থান প্রতিনিয়ত কিভাবে অনুশীলনের মাধ্যমে উন্নত করতে হবে, একই সঙ্গে সমাজকে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে নিজেদের কর্তব্য পালন করতে সক্ষম হবে। আমাদের রাষ্ট্রকে এখন এসব বিষয়ে আরো গভীরভাবে ভাবতে হবে, কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করতে হবে। কেননা সমাজের ভেতরে সাম্প্রদায়িকতা, পশ্চাৎপদতা, অন্ধত্ব, কুসংস্কার, স্বার্থপরতা—এ ধরনের অকল্যাণকর প্রবণতা ও মনোবৃত্তি ব্যাপকভাবে পুনরুৎপাদিত হচ্ছে। এটি বাড়তে দেওয়া হলে, প্রতিকার না করা গেলে এ সমাজ কোনো এক সময় নৈরাজ্যের হাতে কবলিত হতে পারে।

সেখানে কারোরই জীবন নিরাপদ না-ও থাকতে পারে, বিপন্ন হওয়ার আশঙ্কাই বেশি থাকবে। কারণ এখন সময়টি বড়ই জটিল এবং অনিশ্চিত নানা অপশক্তির বেড়াজালে জড়িয়ে পড়ছে। এর থেকে মুক্তি শুধু সচেতন মানুষই ঘটাতে পারে। রাষ্ট্রকে সেই সুযোগটি করে দিতেই হবে। আর আমাদেরও সেই সুযোগ নিতেই হবে।

লেখক : অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0080809593200684