ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখা এমন কোনো বই বিক্রিতে বিধিনিষেধ নিয়ে চট্টগ্রামে অমর একুশের বইমেলা শুরু হচ্ছে আজ সোমবার (১০ জানুয়ারি)। এই বইমেলার আয়োজন করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেশিয়াম প্রাঙ্গণে এবারের বইমেলার আয়োজন। মুজিববর্ষ উপলক্ষে এবারের বইমেলা জাতির পিতাকে উৎসর্গ করা হয়েছে।
বইমেলায় ইতিমধ্যে ২০৫টি স্টল বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকার ১১৮ এবং চট্টগ্রামের ৪০ প্রকাশকের স্টল রয়েছে। গতবছর এ সংখ্যা ছিল ১১০টি। যারমধ্যে ঢাকার প্রকাশকদের স্টল ছিল ৫০টি। মেলা পরিচালনা পরিষদের সদস্য সচিব ও সিটি করপোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া এ তথ্য জানান।
শিক্ষা কর্মকর্তা জানান, সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। মেলা চলবে ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। মেলা প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা এবং ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।
এবারের বইমেলায় স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, দেশবিরোধী এবং জঙ্গিবাদকে উদ্বুদ্ধ করে এরকম বই কেউ বিক্রি করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন মেলা পরিচালনা পরিষদ। কেউ বিক্রি করলে সাথে সাথে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং প্রকাশকদের পক্ষ থেকে একজনসহ মেলা পরিষদের কয়েকজনকে নিয়ে কমিটি করা হয়েছে। তারা নিয়মিত মনিটর করবেন। কোনো অভিযোগ এলে সেটাও তারা দেখবেন।
এবারের মেলায় অণ্বেষা, সন্দেশ, ইত্যাদি, চারুলিপি, তাম্রলিপি, আহমদ, অনুপম, অ্যাডর্ন, নালন্দা, ইউপিএল, প্রথমা, বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র, অন্যপ্রকাশ, আগামী, গ্রন্থকুটির, রোদেলা, সময়, বলাকা, বাতিঘর, পাঞ্জেরিসহ বিভিন্ন প্রকাশনী সংস্থা অংশ নেবে। বইমেলায় তিনদিনের লেখক সম্মেলন হবে। এতে পশ্চিমবঙ্গের লেখকরাও যোগ দেবেন।
মেলা উপলক্ষে সঙ্গীতানুষ্ঠান, রবীন্দ্র ও নজরুল উৎসব, বসন্ত বরণ উৎসব, কবিতা ও ছড়া উৎসব, তারুণ্য উৎসব, আবৃত্তি উৎসব, বিতর্ক উৎসব, শিশু উৎসব, লেখক সম্মেলন ও পাঠক সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সাহিত্য আড্ডা, সাহিত্য-ইতিহাস-ঐতিহ্য ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কুইজ, চিত্রাংক, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক গান, লোক ও মরমী সংগীত, নাটক মঞ্চায়ন, জাদু প্রদর্শন ও নানা ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন রয়েছে।
মেলা প্রাঙ্গণে আয়োজক পরিষদের কক্ষ, হেলথ বুথ, ফায়ার সার্ভিস, অর্ভ্যথনা কক্ষ, মিডিয়া বুথ, বিটিবি বুথ, এটিএম ব্যাংকের বুথ, সার্বক্ষণিক সেবা ব্যবস্থার জন্য সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন বিভাগের সার্ভিস বুথ থাকবে।