আনুষ্ঠানিকভাবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদে নিয়োগ পেয়েছেন ড. শিরীণ আখতার। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রো-ভিসি পদে নিয়োজিত ছিলেন তিনি। সাবেক উপাচার্য ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরীর মেয়াদ শেষ হবার পর গত জুন মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত উপচার্যের দায়িত্ব পালন করছিলেন ড. শিরীণ আখতার। যদিও, শিক্ষাজীবনের চার স্তরে ২য় শ্রেণি লাভ ও এক শিবীর নেতাকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক পদে নিয়োগের সুপারিশ করা অভিযোগ রয়েছে তারা বিরুদ্ধে। রোববার (৩ নভেম্বর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
জানা গেছে, চার বছরের জন্য ড. শিরীণ আখতারকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে। তবে, রাষ্ট্রপতি প্রয়োজন মনে করলে এই নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের বাড়ি কক্সবাজার জেলায়। কক্সবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করা শিরীণ মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। তিনি এইচএসসি পাস চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজ থেকে। চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ থেকে স্নাতক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শেষ করেছেন স্নাতকোত্তর। শিক্ষাজীবনের এ চারটি স্তরে তার রয়েছে দ্বিতীয় শ্রেণি। তবে ভারতের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি করেছেন। উপাচার্য হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের কাছে তদবির করেছেন তিনি।
তার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে , বিশ্ববিদ্যালয়ে গত তিন বছরের বেশি প্রো-ভিসি পদে দায়িত্বপালনের আগে বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট বড় কোনো দায়িত্ব তাকে পালন করতে হয়নি। ফলে প্রশাসনিক নানা বিষয়ে তার অভিজ্ঞতার ঘাটতি রয়েছে। এছাড়াও পিএইডি ছাত্র কাইছার উদ্দিন নামে এক শিবির নেতাকে বাংলা বিভাগে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেয়ার বিষয়ে সুপারিশ করেছেন তিনি।