২০১১ সালে ৬টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ৯ বছরের মধ্যেই ৬টি থেকে ২৪টি বিভাগে উন্নীত হয়। আপাতদৃষ্টিতে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে উন্নতি মনে হলেও, বাস্তবিকপক্ষে হয়েছে বিপরীত। কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই শুধু ভিসি ও ট্রেজারারের ইচ্ছামাফিকই বিভাগগুলো খোলা হয়েছে। বিশেষ করে বিজ্ঞান অনুষদভিত্তিক বিভাগগুলো খোলার ক্ষেত্রে প্রাধান্য পেয়েছে শীর্ষ দুই ব্যক্তির পছন্দ। এক্ষেত্রে বর্তমান আর্থসামাজিক অবস্থান, শিক্ষার্থীদের চাহিদা ও কর্মসংস্থানের বাজার বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) ইত্তেফাক পত্রিকায় প্রকাশিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, প্রসঙ্গত, প্রথম থেকে অভিভাবক হিসেবে আমাদের ও বিজ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অন্যতম একটি চাহিদা ছিল ফার্মেসি। চাকরির বাজারে ফার্মাসির শিক্ষার্থীদের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। তদুপরি বরিশালে রয়েছে দেশের অন্যতম বৃহত্ ঔষধ শিল্পপ্রতিষ্ঠান অপসোনিনসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। তাই সংশ্লিষ্টদের কাছে বিনীত অনুরোধ, দ্রুত ফার্মেসি বিভাগ চালু করে বিশ্ববিদ্যালয়টিকে শিক্ষা ও গবেষণায় সমৃদ্ধ করুন। এছাড়াও মাইক্রোবায়োলজি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং, জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং, ফিসারিজ, ক্রপ সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, সাইকোলজি, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ, ওম্যান অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ ও পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজসহ অন্যান্য চাহিদাসম্পন্ন বিষয় পর্যায়ক্রমিকভাবে খুলে দক্ষিণাঞ্চলের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পথ সুগম করা হোক।
নাজমা পারভিন : বরিশাল।