চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ তুলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল হতে ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকেন।
বিকাল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে অবস্থান করেন। এ সময় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা চুয়েট প্রশাসনের কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরেন। দাবি আদায় না হলে অনির্দিষ্টকালের জন্য সব একাডেমিক কার্যক্রম ও শর্ট টার্ম পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন।
জানা গেছে, গত বুধবার রাতে ১৮ ব্যাচের কিছু শিক্ষার্থী নবাগত ১৯ ব্যাচের কয়েক জন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে চুয়েট সংলগ্ন কাটা পাহাড় এলাকায় র্যাগিং করেন। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর অভিভাবকের অভিযোগ পেয়ে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের উপপরিচালকসহ চার শিক্ষক সেখানে গিয়ে র্যাগিংকারীদের বাধা দেন এবং আট শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করেন।
পরে ১৮ ব্যাচের অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা র্যাগিংয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মারধরের পাল্টা অভিযোগ এনে আন্দোলন শুরু করে।
জানতে চাইলে চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ উপপরিচালক হুমায়ন কবির শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, তারা ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে মিথ্যা অভিযোগ করছে। তদন্তসাপেক্ষে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
