কিশোরগঞ্জের তাড়াইলে ১০ বছর বয়সী ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ধলা ইউনিয়নের সেকান্দরনগর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হাফেজ মওলানা আবদুল্লাহ (২৪) উপজেলার দিগদাইড় ইউনিয়নের বরুহা গ্রামের মো. গেন্দু মিয়ার ছেলে। তিনি হযরত শাহ সেকান্দর আওলিয়া কওমী মাদ্রাসার শিক্ষক।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে তাড়াইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুজিবুর রহমান জানান, কয়েক মাস আগে সেকান্দরনগর গ্রামের বাসিন্দা ১০ বছর বয়সী শিশুটিকে তার বাবা হযরত শাহ সেকান্দর আওলিয়া কওমী মাদ্রাসার নাজেরা বিভাগে ভর্তি করেন। বৃহস্পতিবার রাতে মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্ররা ঘুমাতে গেলে শিক্ষক হাফেজ মওলানা আবদুল্লাহ ওই ছাত্রকে কৌশলে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করেন। ঘটনা কাউকে না বলার জন্য ওই ছাত্রকে ভয়ভীতিও দেখান শিক্ষক আবদুল্লাহ।
তিনি জানান, শুক্রবার সকালে বিষয়টি মাদ্রাসার অন্য শিক্ষার্থীরা জেনে যায়। যৌন নিপীড়নের শিকার শিশুটি বাড়িতে গিয়ে তার অভিভাবককে বিষয়টি জানায়। এক পর্যায়ে তা মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা পরিষদকে জানানো হয়। সকালে বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আবাসিক শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে দাবি ওঠে। পরে খবর পেয়ে তাড়াইল থানার পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষককে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর শিক্ষক আবদুল্লাহকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান ওসি।