বাগেরহাটের ফকিরহাটে ক্বারি মো. মোতাহারুল ইসলাম সরদার (৩২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ১২ বছরের এক ছাত্রকে বলাৎকারের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ফকিরহাট থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার খবর পেয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মাদরাসা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।
অভিযুক্ত ক্বারি মো. মোতাহারুল ইসলাম ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের ধনপোতা-মাসকাটা দারুল উলুম মোহাম্মদীয়া মাদরাসার ক্বিরাত বিভাগের প্রধান।
পুলিশ এবং ওই ছাত্রের পরিবার সূত্রে জানা যায়, খুলনার বটিয়াঘাটা উপজেলার এক ব্যক্তি এক বছর আগে তার ১২ বছরের ছেলেকে আলেম বানাতে ফকিরহাটের ধনপোতা-মাসকাটা দারুল উলুম মোহাম্মাদীয়া মাদরাসার ক্বিরাত বিভাগে ভর্তি করেন। গত ৩১ জানুয়ারি রাতে মাদরাসার দ্বিতল ভবনের পূর্ব পাশের বোডিং কক্ষের মাদরাসার ক্বিরাত বিভাগের প্রধান শিক্ষক ক্বারী মো. মোতাহারুল ইসলাম সরদার তাকে বলাৎকার করেন।
এ সময় ছেলেটি চিৎকার করলে তার মুখ চেপে ধরেন শিক্ষক। কিন্তু রুমের ডিম লাইটের আলোয় সে তার শিক্ষককে চিনতে পারে। পরের দিন সকালেই ওই ছাত্র মাদরাসা থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে বাড়িতে চলে যায়।এবং পরিবারের কাছে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে গত ২ ফেব্রুয়ারি তার পরিবারের সদস্যরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ফকিরহাট মডেল থানায় বলাৎকারের অভিযোগে মামলা করেন। এ খবরে অভিযুক্ত শিক্ষক ক্বারি মো. মোতাহারুল ইসলাম মাদরাসা ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। পুলিশ অভিযুক্ত ওই শিক্ষককে আটকে অভিযান চালাচ্ছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ধনপোতা-মাসকাটা দারুল উলুম মোহাম্মদীয়া মাদরনাসার অপর এক শিক্ষক জানান, ওই ছাত্রের পরিবারের অভিযোগের পর শিক্ষক মোতাহারুল ইসলাম সরদার পলাতক রয়েছেন। তার অনুপস্থিতিতে তাকে মাদরাসা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ফকিরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খায়রুল আনাম বলেন, অভিযুক্ত মাদরাসা শিক্ষক মোতাহারুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। তাকে গ্রেফতারের জন্য কয়েকবার অভিযান চালানো হয়েছে। এখনও পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।