ভোলার বোরহানউদ্দিন থানায় আব্দুল জব্বার সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে ওসি, উপপরিদর্শকসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) পুলিশ বাদী হয়ে শতাধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছে। ২৫ জনকে আটক করা হলেও তার মধ্যে ৭ জনকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান মোটরসাইকেলে ছাত্রলীগ কর্মী মেহেদী হাসান জিহাদকে নিয়ে ভোলা-চরফ্যাশন সড়ক দিয়ে দক্ষিণে যাচ্ছিলেন। গাড়ির কোনো বৈধ কাগজপত্র না থাকায় উপজেলার পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ। পরে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা মোটরসাইকেলটি ছাড়ানোর জন্য তদবির করেন, কিন্তু তাতে সাড়া দেয়নি পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. বাপ্পী ও সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের একদল কর্মী বিক্ষোভ করেন। পরে তাঁরা থানার ফটক ভেঙে ভেতরে ঢোকার চেষ্টা করলে পুলিশ বাধা দেয়। এ সময় ছাত্রলীগের কর্মীরা থানার জানালা ও আসবাব ভাঙচুর করেন এবং পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।
উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের ২০ জনের বেশি নিরীহ কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কিন্তু প্রকৃত অপরাধীদের আটক করা হয়নি। আমাদের দাবি, কোনো নিরপরাধ কর্মী যেন জেল না খাটে।’
ভোলা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজম মুকুল বলেন, ‘ঘটনা শোনার পরে আমি পুলিশকে বলেছি, অপরাধী যারাই হোক না কেন, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অসীম বলেন, হামলায় তিনি, উপপরিদর্শক (এসআই) মোহাইমিনুলসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। থানার জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এসআই মোহাইমিনুল বাদী হয়ে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। পুলিশ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে।