পাবনায় দিনের বেলায় এক ব্যবসায়ীর টাকা ও চেক ছিনতাই করার অভিযোগে জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
রোববার (১০ মে) দুপুরে জেলার সাঁথিয়া উপজেলার ভুলবাড়িয়া ইউনিয়নের বৃহস্পতিপুর বাজার থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এর আগে সেখানে এক ব্যবসায়ীর নগদ প্রায় ছয় লাখ টাকা এবং সাত লাখ টাকার চেক ছিনতাই হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রুহুল আমিন (২৭) ছাড়াও তার দুই সঙ্গী রানা হক (২৭) এবং শিপন হোসেনও (২৫) গ্রেফতার হয়েছেন।
পাবনা সদর সাকেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান বলেন, ছিনতাইয়ের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এছাড়াও ছাত্রলীগ নেতা রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ রয়েওছে।
ঘটনার বিবরণ দিতে গিয়ে আতাইকুলা থানার ওসি নাসিরুল ইসলাম জানান, রোববার দুপুরে সাঁথিয়া এলাকার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম নগদ পাঁচ লাখ পঁচাশি হাজার আটশ টাকা এবং সাত লাখ টাকার চেক অগ্রণী ব্যাংকের আতাইকুলা শাখায় জমা দিতে যাচ্ছিলেন। পথে বৃহস্পতিপুর বাজার এলাকায় ভিড়ের মধ্যে রুহুল আমিন ও তার অনুসারীরা ছুরি মেরে তার কাছ থেকে টাকা ও চেক ছিনিয়ে পালানোর চেষ্টা করে। ব্যবসায়ী সিরাজুলের চিৎকারে স্থানীয়রা রুহুল ও তার দুই সঙ্গীকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ওসি আরও জানান, গ্রেফতার যুবকদের আতাইকুলা থানায় আনা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে ‘নগদ চার লাখ বিশ হাজার টাকা’ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
এ ব্যাপারে আতাইকুলা থানায় ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সিরাজুল বাদী হয়ে মামলা করেছেন।
এ ঘটনাকে দুঃখজনক অভিহিত করে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম বলেন, “কারো ব্যক্তিগত অপরাধের দায় সংগঠন নেবে না।”
এক্ষেত্রে, অপরাধে যুক্ত থাকার প্রমাণ পেলে তাকে ছাত্রলীগ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে বলেন তিনি।
এদিকে, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে আহত ওই ব্যবসায়ীর ছেলে মুসাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ভুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু ইউনুস বলেন, ছাত্রলীগকে ভাঙিয়ে রুহুল আমিন এলাকায় ‘ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল।’ তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ‘অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে।’