মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী গ্রন্থাগারিক পদে নিয়োগ শুরু হয় ২০১০ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। বর্তমানে সারাদেশে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ১৫ হাজার সহকারী গ্রন্থাগারিক রয়েছেন। কিন্তু সহকারী গ্রন্থাগারিকদের মর্যাদা আজও নির্ধারণ হয়নি।
২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৮ জানুয়ারি বেসরকারি স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী নীতিমালায় সহকারী গ্রন্থাগারিক পদটিকে ৩য় শ্রেণির কর্মচারী এবং নন টিচিং স্টাফ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরে আবার ২০১৩ খ্রিষ্টাব্দের ৫ মে এক সংশোধনী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের ৩য় শ্রেণির কর্মচারী এবং নন টিচিং স্টাফ হতে বাদ দেয়া হয়। কিন্তু সহকারী গ্রন্থাগারিকদের মর্যাদাগত অবস্থান কোথায় হবে সেটি উল্লেখ করা হয়নি।
ফলে প্রতিদিনই মর্যাদা নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়ছেন তারা। জাতীয় বেতন স্কেলের ১০ম গ্রেডে বেতন পেয়েও স্কুলে নানাভাবে অবহেলা ও বঞ্চনার শিকার হচ্ছেন সহকারী গ্রন্থাগারিকরা।
সহকারী গ্রন্থাগারিকরা প্রতিদিন স্কুলে ৪-৫টি ক্লাস নেন এবং গ্রন্থাগার পরিচালনা করেন। লাইব্রেরি ঘণ্টা পরিচালনা করার জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে নির্দেশনা দিয়ে চিঠিও দেয়া হয়েছে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের।
গতবছর সহকারী গ্রন্থাগারিকরা শিক্ষকের মর্যাদা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন। হাইকোর্ট সহকারী গ্রন্থাগারিকদের কেন শিক্ষকের মর্যাদা দেয়া হবে না মর্মে রুল জারি করেছেন। রিটটি বর্তমানে শুনানির অপেক্ষায় রয়েছে।
ইতোপূর্বে সহকারী গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষক মর্যাদার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের সাথে বাংলাদেশ গ্রন্থাগার সমিতি ও বাংলাদেশ বিদ্যালয় গ্রন্থাগার সমিতির নেতারা কথা বলেছেন করেছেন।
এদিকে সারাদেশের হাজার হাজার সহকারী গ্রন্থাগারিক শিক্ষকের মর্যাদার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এমপিও নীতিমালা ও জনবল কাঠামো সংশোধনের জন্য যে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে তারা যেন সহকারি গ্রন্থাগারিকদের শিক্ষকের মর্যাদা দেয়ার সুপারিশ করেন। এটাই সারাদেশের সহকারি গ্রন্থাগারিকদের একমাত্র প্রত্যাশা।
সাখাওয়াত প্রধান : সহকারী গ্রন্থাগারিক, পঞ্চগড়।