জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ‘মিস ফাণ্ডের’ নামে শিক্ষার্থীরা চাইলে আর টাকা আদায় করা হবে না বলে জানিয়েছেন বিভাগের শিক্ষকরা।
শিক্ষকরা জানান, শিক্ষার্থীরা আবেদন করলে এই টাকা আর নেওয়া হবে না। মিস ফান্ডের পরিবর্তে নতুন রশিদে ৩৫০ টাকা করে আদায় করা হয়েছে পরীক্ষা কেন্দ্র ফি নামে। তবে শিক্ষার্থীরা টাকা জমা দিয়েছেন মিস ফান্ডের সেই আগের সঞ্চয়ী হিসাব নম্বরেই।
সেখানে বলা হয়, চারুকলার শিক্ষার্থীদের ভর্তি ফি আদায় করা হয় অগ্রণী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব ৩৪০২৭১০৯ ও বিবিধ ফি নেওয়া হয় সঞ্চয়ী হিসাব ৩৪০২৭৪০৬ নম্বরে। টাকা জমা দেওয়ার পর রশিদের দুটি অংশ জমা থাকে ব্যাংকে। আর রশিদের একটি অংশ রেজিস্ট্রার অফিসের জন্য এবং অন্যটি শিক্ষার্থীর অংশ।
এই দুই দফাতেই ‘মিস ফান্ড’ নামের একটি রশিদও শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়। যার মাধ্যমে ২৫০ টাকা করে অগ্রণী ব্যাংকের সঞ্চয়ী হিসাব ০২০০০০২৫২৭৫২৫ নম্বরে জমা নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: জবি চারুকলার মিস ফান্ডের নামে অদ্ভুত তহবিল
ভর্তি ও বিবিধ ফি রশিদের চারটি অংশ থাকলেও ‘মিস ফান্ড’ রশিদের দুটি অংশ, যার একটি ব্যাংকে জমা দিয়ে অন্যটি বিভাগে দিয়ে দিতে হয় শিক্ষার্থীকে। ফলে তার কাছে কোনো কপি থাকে না।
তহবিলের টাকা কোথায়, কিভাবে খরচ হয় তা জানতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি, ব্যবহারিকের সব উপকরণই তাদের নিজেদের পয়সায় কিনতে হয়।
মিস ফান্ড বাতিলের বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের কয়েক দফা অনানুষ্ঠানিক আলোচনা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক বজলুর রশীদ খান বলেন, শিক্ষার্থীদের সাথে আমাদের আনঅফিসিয়ালি কয়েকবার আলোচনা হয়েছে। আমরা তাদের আবেদন করতে বলেছি, তারা আবেদন করলে আমরা মিস ফান্ড বাতিল করে দেব। তারা আবেদন না করলেও আমরা শিক্ষকরা বিষয়টি নিয়ে বসব, যেহেতু এটা মিডিয়াতে এসেছে। বিভাগের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের ব্যবহারিক সামগ্রী সরবরাহ করতেই এ ফান্ডের চাঁদা আদায় করা হতো বলেও দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী ওহিদুজ্জামান বলেন, এ টাকাটা কোন প্রেক্ষিতে নিয়েছে, কেন নিয়েছে; এর ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। আমাদের কাছ থেকে কোনো অনুমতি নেয়নি। ফি’স নির্ধারণী কমিটি আছে, আমি ওটার মেম্বার সেক্রেটারি; ওখানেও এ ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
তবে বিভাগের শিক্ষক বজলুর রশীদ খানের দাবি, বিধান মেনেই তারা মিস ফান্ডের চাঁদা আদায় করেছেন।