জবির সাবেক শিক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগে দুই ছাত্র গ্রেফতার - দৈনিকশিক্ষা

জবির সাবেক শিক্ষার্থীকে কোপানোর অভিযোগে দুই ছাত্র গ্রেফতার

জবি প্রতিনিধি |

ফেসবুক মেসেঞ্জারে মেসেজ চালাচালির জের ধরে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাবেক দুই শিক্ষার্থীকে চাপাতি দিয়ে কোপানোর অভিযোগে সাত ছাত্রের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনকে আটকের পর জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ঘটনার পর ভুক্তভোগী দুজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের সহায়তায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর আমরা টিএসসিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনায় ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করি। দোষীদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুলিশকে বলা হয়েছে।’

এর আগে হামলার অভিযোগে সাত জনকে আসামি করে বুধবার রাতে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন জবির সাবেক শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম মজুমদার।

আসামিরা হলো- জবি ফিন্যান্স বিভাগের ১১ ব্যাচের রিয়াদ ইবনে সাদাফ, কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী সানবীর মাহমুদ ফয়সাল, জবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১১ ব্যাচের আল সাদিক হৃদয়, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১১ ব্যাচের আল সাদিত জিয়ন, মার্কেটিং বিভাগের ১১ ব্যাচের ফয়সাল, ব্যবস্থাপনা বিভাগের ১০ ব্যাচের আরাফাত ইসলাম, প্রাণীবিদ্যা বিভাগের ১০ ব্যাচের আবু মুসা রিফাত ও অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন।

 মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ফেসবুকে মেসেঞ্জারে মেসেজের জের ধরে বুধবার সাড়ে ১২টার পর জবির সাবেক শিক্ষার্থী আতিকুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর হোসেন ও বাহাউদ্দিনকে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে ডেকে নিয়ে চাঁদা দাবি ও লাঞ্ছিত করে জবির ফিন্যান্স বিভাগ ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রিয়াদ ইবনে সাদাফ ও কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী সানবীর মাহমুদ ফয়সাল।

এরপর বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে চা খেতে গেলে রিয়াদ ইবনে সাদাফ ১৫-২০ জন নিয়ে আতিকুল, জাহাঙ্গীর, বাহার ও তাদের ছোটভাই জুলহাসের ওপর হামলা করে এবং আতিকুল ও জাহাঙ্গীরকে জখম করে। এই ঘটনায় বুধবার রাতেই পুলিশ রিয়াদ ইবনে সাদাফ ও সানবীর মাহমুদ ফয়সালকে গ্রেফতার করে বৃহস্পতিবার আদালতে তোলেন। তাদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন মহানগর হাকিম জজ আদালত।

এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি কাজী ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে পাঠানো হলে তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়। বাকিদের ধরার চেষ্টা চলছে।’

শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha শিক্ষায় বরাদ্দ বেড়েছে, আরো বাড়বে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না - dainik shiksha সমাবর্তনের অজুহাতে সনদ আটকে রাখা যাবে না হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু - dainik shiksha হিটস্ট্রোকে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু - dainik shiksha চুয়েটে আন্দোলন স্থগিত, সড়কে যান চলাচল শুরু প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় - dainik shiksha প্রাথমিকের প্রশ্ন ফাঁসে অল্পদিনে কয়েকশ কোটি টাকা আয় রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট - dainik shiksha রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম সংবিধানবিরোধী নয়: হাইকোর্ট কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.023236989974976