জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘অগ্নিঝরা মার্চ ও বাঙালি জাতিসত্ত্বার উত্থান’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও আন্তঃকলেজ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বাংলা একাডেমির আব্দুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
প্রধান অতিথি আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, মার্চ মাস বাঙালি জাতিসত্ত্বার উত্থানের মাস। মার্চের ঘটনা প্রবাহ মুক্তিযুদ্ধে রূপ নিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশ সৃষ্টি করে। বিশেষ অতিথি প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ৭১ এর অগ্নিঝরা মার্চ ছিল স্বাধীন বাঙালি জাতির অভ্যুদয়ের মাস। মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে তা চূড়ান্ত পরিণতি লাভ করে। এর মহানায়ক ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
উপাচার্য ড. হারুন-অর-রশিদ বলেন, মার্চ মাসেই বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে স্বাধীন বাঙালি জাতির বিপ্লবী অভ্যুত্থান ঘটে। এর ভিত্তি রচিত হয় বাঙালির হাজার বছরের জাতীয় মুক্তির আকাঙ্ক্ষা, আন্দোলন, সংগ্রাম ও স্বপ্নের মধ্যে। ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ ছিল স্বাধীনতার জন্মযন্ত্রণা। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. মশিউর রহমান স্বাগত বক্তব্য দেন।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবিবুল্লাহ সিরাজী এবং নাট্যজন ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার।
রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ট্রেজারার প্রফেসর নোমান উর রশীদ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় জাতীয় পর্যায়ে ১৮টি কলেজের ২৪ জন বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার প্রদান করা হয়। অতঃপর এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।