জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাপ্পড় মেরে জুনিয়রের কান ফাটিয়ে দিয়েছে সিনিয়র শিক্ষার্থী। বুধবার (১৯ এপ্রিল) রাত আড়াইটায় মাওলানা ভাসানী হলের ১১৪নং কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। আহত জুনিয়র শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন, রসায়ন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আর সিনিয়রের নাম জাহিদ হাসান তুহিন ও নজরুল ইসলাম। দুজনেই বাংলা বিভাগ ৪৭ ব্যাচের ছাত্র। তবে তুহিন মারধরের কথা অস্বীকার করেছে।
জানা যায়, মাওলানা ভাসানী হলের গণরুমে যায় হলটির ৪৭ ব্যাচের একদল শিক্ষার্থী। এ সময় তারা ৪৮ ব্যাচের সব শিক্ষার্থীকে ১১৪নং কক্ষে একত্রিত হতে বলে। এ কক্ষে নিয়মিতই প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের র্যাগিং করা হয়। পরে তুচ্ছ কারণে ৪৮ ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীকে গালাগাল ও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে পরিচয় দিতে ভুল করায় মোশাররফকে জাহিদ হাসান তুহিন মারধর করে। মারধরের পর তাকে ১১৩নং কক্ষে পাঠানো হয়। সেখানে মো. নজরুল তাকে পুনরায় মারধর করে। এতে তার বাম কান ফেটে রক্ত বের হয়। তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নেয়া হয়। মোশাররফ ছাড়া আরও ৫-৬ জনকে মারধর করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আনিসুর রহমান বলেন, বুধবার রাত ৩টার দিকে ১০-১২ জন ছেলে একটা ছেলেকে মেডিকেলে নিয়ে আসে। তার বাম কানের বাইরের অংশে জখম ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে একজন বিশেষজ্ঞকে দেখানোর পরামর্শ দিয়েছি।
এদিকে মারধরকারী তুহিন বলেন, আমি মারধরের বিষয়ে কিছু জানি না।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, এ ঘটনাটি হল প্রশাসন বিচার করবে। হল প্রশাসন চাইলে আমরা প্রয়োজনে সর্বাধিক সহযোগিতা করব।