জাল নিবন্ধন ও দারুলের সনদধারী শিক্ষকের ৮ বছর এমপিও ভোগ! - দৈনিকশিক্ষা

জাল নিবন্ধন ও দারুলের সনদধারী শিক্ষকের ৮ বছর এমপিও ভোগ!

নিজস্ব প্রতিবেদক |

কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় শিক্ষা প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে জাল নিবন্ধন সনদ ব্যবহার করে ৮ বছর এমপিওভোগ করেছেন এক শিক্ষক। জাল শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দাখিল করে এমপিওভোগ করা ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহিদা খাতুন দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্টিফিকেটধারীও। সম্প্রতি এনটিআরসিএর দেয়া এক সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদনে শাহীদা খাতুনের জাল নিবন্ধন সনদ দাখিল করে চাকরির বিষয়টি প্রমাণিত হয়। যদিও স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের স্ত্রী জাল সনদধারী শিক্ষক শাহিদা খাতুনের দাবি, ‘সনদ জাল হলে এমপিওভুক্ত হয় কিভাবে?’

জানা গেছে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় সোনাহাট দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন প্রভাব খাটিয়ে তার স্ত্রী শাহিদা খাতুনকে সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ দেন ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে। 

অভিযোগে জানা যায়, শাহিদা খাতুন ১৯৯০ খ্রিষ্টাব্দে বলদিয়া দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। তিনি উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেন। পরে, বন্ধ হয়ে যাওয়া দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক (অনার্স) এবং বিএড সনদ নেন। শিক্ষক নিবন্ধন জাল সনদ সংগ্রহ করে সহকারী শিক্ষকের পদে স্বামীর সহায়তায় নিয়োগ নেন। তবে, সনদ জাল হওয়ায় তৎকালীণ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা তার এমপিও আবেদন অগ্রায়ণ করেননি। পরে কৌশলে শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষর জাল করে ২০১২ খ্রিষ্টাব্দে শাহিদা বেগমকে এমপিওভুক্ত করানো হয়। অবৈধভাবে এমপিওভুক্তিতে মূল কাজ করেন তার স্বামী প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেন। 

বিদ্যালয়ের সভাপতি আকতার হোসেন দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘২৪ ডিসেম্বর শাহিদা খাতুনের নিবন্ধন যাচাইয়ের জন্য এনটিআরসিএ বরাবর একটি আবেদন করা হয়েছিল।’ 

পরবর্তিতে ২০ জানুয়ারি সনদ যাচাইয়ের প্রতিবেদন দেয় এনটিআরসিএ। প্রতিবেদনে শাহিদা খাতুনের সনদটি সঠিক নয় বলে জানানো হয়। এনটিআরসিএর সহকারী পরিচালক মো. মোস্তাক আহমেদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সহকারী শিক্ষক শাহিদা খাতুনের সমাজবিজ্ঞান বিষয়ের নিবন্ধন সনদটি সঠিক নয়। উত্তীর্ণ রোল নম্বরটি অন্য ব্যক্তির। যার নাম সুলতানা খাতুন। জাল ও ভুয়া সনদধারী সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ হতে মামলা দায়ের করে এনটিআরসিএ জানাতেও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। 

তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কমিটির একাধিক সদস্য দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, প্রায় এক মাস হলেও মামলা করার চিঠি সভাপতি পেয়েছে। কিন্তু সে মোটা অংকের উৎকোচের বিনিময়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে মামলা করতে গরিমসি করছেন। এছাড়াও নিয়ম বর্হিভূতভাবে আলমগীর হোসেন প্রধান শিক্ষকের পদ বাগিয়েছেন। পদ পাওয়ার পর থেকে বিদ্যালয়ের টাকা আত্মসাৎ করে বিপুল অর্থের মালিক বনে গেছেন। বিদ্যালয় সংলগ্ন রাজকীয় একটি বাড়িও বানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক।

অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক শাহিদা বেগম দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘আমার সনদ জাল হলে এমপিওভুক্তি হয় কিভাবে? তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে সেটি তার জানা নেই বলে জানান।’ 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলমগীর হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে বলেন, যারা অভিযোগ করেছে তারাই ভালো জানেন। আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করেন। আমি কিছুই বলতে পারবো না।

রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা - dainik shiksha রোজায় স্কুল: শিক্ষার্থী উপস্থিতি কম, নজরদারিও ঢিলেঢালা পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য - dainik shiksha পেনশন প্রজ্ঞাপনে উদ্বিগ্ন ঢাবি উপাচার্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত - dainik shiksha শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গবেষণা অনুদান করমুক্ত ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ - dainik shiksha ব্রাজিলে তীব্র গরমে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি - dainik shiksha শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নামে প্রতারণা, সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ - dainik shiksha উচ্চ মাধ্যমিকের সমমান পেলো ‘হেট’ আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ - dainik shiksha আটকের ১৩ দিন পরেও বরখাস্ত হননি অধ্যক্ষ please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0038979053497314