আমাদের শিশুরা যে লেখাপড়ায় কঠিন চাপের মধ্যে পড়েছে বা ওদের সামনে লেখাপড়াকে যে কঠিন করে তোলা হয়েছে একথা এখন আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ভালো লাগছে কর্তৃপক্ষ ব্যাপারটা এতদিনে আন্দাজ করতে পেরেছে দেখে। অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেটে (জেডিসি) তিনটি করে বিষয় ও পরীক্ষার নম্বর ২০০ কমানো হয়েছে বলে পত্রিকায় এসেছে (সংবাদ, ১ জুন ২০১৮)।
এখন আশা করা যায় প্রাইমারি শিক্ষার বেলায়ও কর্তৃপক্ষ বিষয়টা বিবেচনায় নিয়ে পাবলিক পরীক্ষাটা তুলে দেবেন প্রাইমারি থেকে। এটা করলেই দুধের শিশুরা হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারবে। বলতে চাইছি একটু ধীরে হাঁটুন অনেক পথ হাঁটুনÑ ওদেরও সেভাবে হাঁটতে দিন। ওদের ক্লান্ত করে দিয়ে আখেরে লাভ হবে না। অঙ্কুরেই বিনাশ ঘটবে অধিকাংশের। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে ওরা যে পড়ালেখার চাপে দিনে দিনে ক্লান্ত হয়ে পড়ছে এটা সবাই দেখেও দেখছেন না কেন? ঘরে ঘরেই তো ওরা আছে। সাধারণ ঘরের বা হোক সে মধ্যবিত্ত ঘরের একটা প্রথম শ্রেণীর শিশুকে যদি ৮-১০টা কোথাও ১২টা পরীক্ষা দিয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হতে হয় তাহলে ক্লান্তি তার ওপর ভর করবে না বা শুরুতেই লেখাপড়ার প্রতি তার অনীহা সৃষ্টি হবে না এমন মনে করা মানে বিষয়টা এড়িয়ে যাওয়া ছাড়া কিছু না। গণিতে বোর্ডের বইটার সঙ্গে সহায়ক বই থাকে দুইটা, ইংরেজিতে থাকে বোর্ডের বইটার সঙ্গে সহায়ক বই তিনটাÑ এই ৭টা। এর সঙ্গে বাংলা ধর্ম সমাজ বিজ্ঞান অঙ্কন এসব তো আছেই।
সরকারি স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পরীক্ষা নেয়া হয় বাংলা ইংরেজি গণিত পরিবেশ পরিচিতি, ধর্ম, চারুকলা/কারুকলা ও নামেই সংগীত একটা বিষয় আছে যার শিক্ষক নেই। ৫ম শ্রেণীর কথায় পরে আসছি দ্বিতীয় শ্রেণীতে পার্টস অব স্পিস পড়ানো হয় এমন অনেক স্কুল আছে যেখানে সাধারণ ঘরের ছেলেমেয়েরা পড়ে। আর হেন কিছু নেই যা তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ানো হয় না। সে সরকারি হোক আর যে স্কুলই হোক। কোন কোন বিষয়ের কারিকুলাম এবং তার প্রশ্নপত্র দেখলে এমন মনে হতে পারে যে, এ বিষয়ে জীবনে যেন আর কিছু পড়ার প্রয়োজন হবে না ওদের। তৃতীয় শ্রেণীতেই সব পড়িয়ে শেষ করতে হবে। তৃতীয় শ্রেণীতে সরকারি স্কুলে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয এবং প্রাথমিক বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ান হয়। এ ছয়টি বিষয়ের এবং তার সঙ্গে সহায়ক বইয়ের পাঠ্যসূচি এবং সেই মোতাবেক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পাশাপাশি এখানে তুলে ধরা গেলে সেটা দেখে আমি মনে করি যে কোন পাঠক মনে মনে হলেও একবার না বলে পারবেন না যে, কী করে আমাদের শিশুরা এত লেখাপড়া করছে।
একবার তৃতীয় শ্রেণীর ইংরেজির এক সেট প্রশ্নপত্র এ কলামে তুলে ধরে বলেছিলাম, তৃতীয় শ্রেণীর ৮-৯ বছরের কোমলমতি একটা শিশুর পক্ষে সুদীর্ঘ এ প্রশ্নপত্রখানা পড়ে-বুঝে কীভাবে দুই-আড়াই ঘণ্টায় উত্তর করা সম্ভব! আর যদি সম্ভব হয়ও সেটা কত পার্সেন্ট শিক্ষার্থীর পক্ষে সম্ভব। এমন লেখাপড়া করার মতো সুযোগ-সুবিধাই বা আমাদের কতজন ছেলেমেয়েরা পেয়ে থাকে।
যাহোক, আমি বলতে চাই এই কঠিনের সঙ্গে রয়েছে যত দুর্নীতি ও প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্পর্ক। এমন কী প্রথম-দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথাও পত্রিকায় এসেছিল গত বছর। কেন ফাঁস হয়? নিশ্চয় গলদ আছে কোথাও। কারিকুলাম যদি শ্রেণী উপযুক্ত হয় পাঠদান যদি কারিকুলাম মাফিক হয় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র যদি পাঠদান মাফিক হয় তাহলে তো প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো ন্যক্কারজনক একটা সর্বনাশা ঘটনা ঘটার কথা নাÑ শিক্ষার মান নিয়েও কোন কথা ওঠার কথা না। ছোটদের লেখাপড়া যে কঠিন করে ফেলা হয়েছে প্রশ্নপত্র ফাঁসই তো তার বড় উদাহরণ। আর কঠিন করাতে লাভবান হয়েছে কারা সেটাও সবাই দেখছেন। স্কুলের ছাত্রছাত্রী তা সে যে শ্রেণীরই হোক সবার হাতে বড় বড় গাইড বই শোভা পাচ্ছে। শিক্ষকের হাতেও পাচ্ছে। ব্যতিক্রম কিছু থাকতেই পারে সেটা ধর্তব্যের মধ্যে পড়ে না।
সত্য হলো কোন ছাত্রছাত্রী নোট-গাইড-কোচিংয়ের বাইরে নেই। সবমিলে বাণিজ্য জমজমাট। এ বাণিজ্যের কারণে বিশেষ করে প্রাইভেট স্কুলগুলোতে সোনামণিদের লেখাপড়া শিখানোর নামে যা করা হচ্ছে তা রীতিমতো ওদের ওপর উৎপীড়ন ছাড়া কিছু না। দেখার কেউ নেই। এ ব্যাপারে কারিকুলাম প্রণেতাদের অর্থাৎ এনসিটিবির বক্তব্য হলো, কারিকুলাম তৈরির পরপরই তারা (এনসিটিবি) সার্কুলার মারফত সংশিষ্ট সবাইকে এ মর্মে জানিয়ে দিয়ে থাকেন যে, বোর্ডের অনুমোদিত বই ব্যতীত অন্য কোন বই স্কুলে পড়ান যাবে না। তারপর সেটা বাস্তবায়ন কতটুকু হচ্ছে বা না হচ্ছে তা মনিটর করার দায়িত্ব তাদের না। সে লোকবলও তাদের নেই। সে দায়িত্ব নিজ নিজ প্রশাসনের অর্থাৎ ডিজি প্রাইমারি এবং ডিজি সেকেন্ডারির। সহায়ক বইয়ের নামে অতিরিক্ত বই শিশুদের ঘাড়ে চাপানো নিয়েও তাদের (এনসিটিবি) বক্তব্য হলো, এরকম ক্ষেত্রে যা করার সেটাও করে প্রশাসন।
প্রশাসন থেকে এনসিটিবির কাছে পাঠান হলে এনসিটিবি থেকে সেটা দেখে দেয়া হয়। এই মর্মে দেখে দেয়া হয় যে,কারিকুলামের সঙ্গে সেটা যায় কি না বা সাংঘর্ষিক হয় কিনাÑ এ পর্যন্তই। আমি নিজে এনসিটিবির চেয়ারম্যান এবং মেম্বার, কারিকুলামের সঙ্গে কথা বলে এসে এ কলামে বিষয়টা লিখেছিলাম। আবারো প্রসঙ্গক্রমে কথাটা টেনে আনলাম এ কারণে যে, কাউকে না কাউকে তো দেখতে হবে। মনিটরিং করতে হবে প্রাইভেট স্কুলগুলোতে কী শেখানো হচ্ছে কী বই পড়ানো হচ্ছে। অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে অভিভাবকদের কীভাবে বাধ্য করা হচ্ছে দুধের শিশুদের স্কুল ছুটির পরও কোচিংয়ে বসিয়ে রাখতে টাকা-পয়সার কথা না হয় বাদই দিলাম। কথা হলো, আমার-আপনার এসব জানাতে কোন কাজ হবে না। দায়িত্বশীলতা নিয়ে জানতে হবে। যাহোক প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সোনামণিদের জন্য যেকথাটা আমি আজকেও বলতে চাই তা হলো, ওদের লিখিত পরীক্ষা থেকে অব্যহতি দিন। ওদের আবার লিখিত পরীক্ষা কিসের! ওরা শুধু ছড়া-কবিতা মুখস্থ করবে। নিজের কাজ নিজে করতে শিখবে। অক্ষর চিনবে লেখা শিখবে পরিবেশকে জানবে খেলাধুলা করবে আর শুধু গলা ছেড়ে গাইবে, আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি’। তা না কী কঠিন পীড়নটা না ওদের ওপর দিয়ে যাচ্ছে। এসবের মূলে হলো ওই পঞ্চম শ্রেণীতে পাবলিক পরীক্ষা। ভয়টা ধরেছে ওখানে। গোড়া থেকে এভাবে গড়ে না তুললে জিপিএ-৫, গোল্ডেন ছুটে যাবে আর ছুটে গেলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার এমনই প্রচার।
এবার আসি পঞ্চম শ্রেণীর পাবলিক পরীক্ষার মহাযজ্ঞের কথায়। এ পরীক্ষাটা তুলে দেয়ার ঘোষণা আসতে আসতেও না আসার যে কারণ কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে জানা গেছে সেটা এরকম। ক. পিএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার ফলে মেধাবীদের বৃত্তি প্রদান করা সহজ হচ্ছে। খ. বৃত্তি প্রদানের জন্য আলাদা পরীক্ষার নিতে গেলে শ্রেণীর সব শিশু লেখাপড়ায় সমান সুযোগ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়। শিক্ষকরা তখন বৃত্তি পরীক্ষার জন্য লেখাপড়ায় ভালো এমন সব ছাত্রছাত্রীদের বাছাই করে নিয়ে পৃথকভাবে পড়ান, বিশেষ যতœ নেÑ এতে ক্লাসের অন্যরা বঞ্চিত হয়। কথা দুটোই ঠিক কিন্তু এর কি কোন বিকল্প নেই? এ নিয়ে কতটুকু গবেষণা করে দেখা হয়েছে। আমি মনে করি গবেষণা করে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়ার যে পদ্ধতি তার খুব অভাব রয়েছে আমাদের। যাদের মাঠের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ রেখে নিরলস গবেষণায় নিমগ্ন থাকার কথা এবং প্রতি বছর সে মোতাবেক লেখাপড়ায় সময়োপযোগী সংযোজন-বিয়োজন আসার কথা সেই এনসিটিবি প্রতিবছর বিরাট এক কর্মযজ্ঞে ন্যস্ত। কোটি কোটি পাঠ্যপুস্তক ছাপানো এবং বিতরণের কাজ প্রশংসনীয়ভাবে করে যাচ্ছে তারা প্রতি বছর। কাজেই তাদের কাছে এর বেশি আর কত আশা করা যেতে পারে। সাদা চোখে দেখা সহজ করে ভাবা ওই বৃত্তি প্রদান নিয়ে কিছুকথা এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে। যেমন পঞ্চম শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষাটা উপজেলা/থানা ভিত্তিক গ্রহণ করা যেতে পারে। যারা ভালো করবে তারা বৃত্তি পাবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরি এবং পরীক্ষার আয়োজন করবে উপজেলা/থানার একাজের জন্য গঠিত বিশেষ কমিটি। আর স্ব স্ব স্কুলের শিক্ষক মহোদয়রা প্রশ্নপত্র নিজেরা তৈরি করে পরীক্ষা নেবেন চতুর্থ শ্রেণী পর্যন্ত। প্রশ্নব্যাংকেরও দরকার নেই প্রশ্নপত্র কেনাবেচারও দরকার নেই। শিক্ষক মহোদয়রা যা পড়াবেন যেভাবে পড়াবেন প্রশ্নপত্র সেভাবে করবেন। বিরাট একটা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে চাকরিতে আসা সরকারি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা এটা পারবেন না একথা বিশ্বাস করা যায় না।
দায়িত্ব পেলে ঠিকই পারবেন এ বিশ্বাস রাখতে হবে। তাছাড়া তাদের কাজ তদারকির জন্য প্রাইমারিতে রয়েছে বিরাট এক নেটওয়ার্ক তথা মনিটরিং চেইন। যেমন একেবারে রুট লেভেলে রয়েছেন সহকারী উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার। নির্দিষ্ট করে দেয়া আছে তার জন্য কয়েকটা স্কুল। যে উপজেলায় বা থানায় স্কুলের সংখ্যা বেশি সেখানে এই পদের সংখ্যাও বেশি। স্কুল ও শিক্ষকের সংখ্যার ভিত্তিতে প্রতি উপজেলায় বা থানায় এই পদগুলো আছে। তার ওপরে আছেন একজন উপজেলা/থানা শিক্ষা অফিসার। থানা বা উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিয়ে আছেন তিনি। আছেন জেলা পর্যায়ের অফিসে একাধিক অফিসার। এর উপরে আছেন বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তা। তার উপরে রয়েছেন অধিদফতরের কর্মকর্তা যাদেরও প্রতি মাসে স্কুল-ফিল্ড অফিস ট্যুর করা রুটিন ওয়ার্ক। রয়েছে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য নেপ (ঘঅচঊ-ঘধঃরড়হধষ অপধফবসু ভড়ৎ চৎরসধৎু ঊফঁপধঃরড়হ) কাজেই শিক্ষকরা দায়িত্ব পেলে পারবেন। যুগ পাল্টেছে যোগাযোগ সহজ হয়েছে। এঅবস্থায় আমার তো মনে হয় প্রাইমারির এই বিরাট নেটওয়ার্ক বা মনিটরিং চেইন দ্বারা প্রাইমারি শিক্ষার যেখানে যেস্কুলে যে পাঠদানই করানো হোক না কেন তা আয়ত্বে নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এই অধিদফতরের। যোগাযোগ বলতে ডিজিটাল যেগাযোগ এবং গ্রাম পর্যায়ে রাস্তা ব্রিজ-কালভার্ট-এর উন্নয়নের কথা বলছি। কিন্তু সঙ্গে একথাও বলতে হয় এখন তো কেউ আর সেই স্কুল ইন্সপেক্টর নেই সবাই এখন গেজেটভুক্ত অফিসার। অফিস সামলাতেই ব্যস্ত। কেউ কেউ ফাইলে স্বাক্ষর আর মিটিংয়ে যোগ দিতেই হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন। এরপর রয়েছে ‘সরষের ভূত’ দালালচক্র। তাদের পাশ কাটিয়ে শ্রেণীকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার প্রকৃত অবস্থা জানা এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া সে খুবই কঠিন কাজ। তবে একথা ঠিক একাজটাই করতে হবে শিক্ষার মানোন্নয়ন চাইলে।
এই পিএসসি পরীক্ষা তুলে দেয়ার জন্য যেকথা আগেও বলেছি আজও আবার একটু বলে শেষ করতে চাই। যেমন যারা পিএসসির আগে-পরে আর পড়বে না ঝরে যাবে তারা ওই লেখাপড়া ভুলে যাবে। কোন কাজে আসবে না তাদের এ লেখাপড়ার সনদ। যারা আর পড়তে পারবে না বা ঝরে যাবে তারা তো দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়ে। যাদের আর্থিক সমর্থ আছে বা পরিবারে কিছু লেখাপড়া আছে তাদের সন্তানেরা ঝরে যায় না। তারা টিকে থাকে বা টিকিয়ে রাখা হয় সামনের পাবলিক পরীক্ষা পর্যন্ত। দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ছেলেমেয়েদের একটু লেখাপড়া শেখাতে চাইলে ওদের অন্তত অষ্টম শ্রেণী অর্থাৎ জেএসসি পর্যন্ত বাধ্যতামূলকভাবে টেনে তুলতে হবে এবং এখানে এসে একটা সনদ হাতে পাওয়া ঠিক আছে। আর লেখাপড়া না করলেও কিছু বিদ্যা তার ঘটে থাকবে। সে একজন লেখাপড়া জানা মানুষ হিসেবে সমাজে বিবেচিত হবে। এখন একথা সত্য যে, দেশের যত পরীক্ষা আছে তার মধ্যে বৃহত্তম সংখ্যক পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে থাকে এ পিএসসি পরীক্ষায়। এ পরীক্ষা তুলে দিলে একে পুঁজি করে নোট-গাইড-কোচিং-এর ব্যবসা কেউ ফেঁদে বসতে পারবে না। পরীক্ষা করে শিশু ও অভিভাবকদের মাথাও খারাপ করে তুলতে পারবে না কেউ। প্রশ্নপত্র ফাঁসের প্রশ্নও আসবে না। শিক্ষা থেকে দুর্নীতি শুরুতেই বহুলাংশে থেমে যাবে। শিশুরাও সাবলীলভাবে সামনে এগিয়ে যেতে পারবে শুরুতে যেমন বলেছি।
সৌজন্যে: সংবাদ