লোহাগাড়ার পদুয়ার তেওয়ারিখিলে বুড়ি পুকুর পাড় তেওয়ারিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুটি ভবন রয়েছে। এরমধ্যে একটি ঝুঁকিপূর্ণ। স্থান সংকুলান না হওয়ায় ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেও চলছে শ্রেণি কার্যক্রম। ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিদ্যালয় ভবনটির অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। মাঝে মাঝে ছাদের পলেস্তারা খসে পড়ে। কোথাও কোথাও পলেস্তারা উঠে গিয়ে রড দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ে। পাশেই রয়েছে তিনকক্ষ বিশিষ্ট আরেকটি একতলা ভবন। তবে ঐ ভবনে যেতে আলাদা কোনো পথ নেই। বাধ্য হয়ে শিক্ষক ও ছাত্র-ছাত্রীদের পুরাতন ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের নিচ দিয়েই যেতে হয়।
প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন জানান, নতুন ভবনের তিনটি কক্ষে ক্লাস চলে। কক্ষ সংকটের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ক্লাস করতে হয় সিঁড়িঘরে। তাছাড়া বাধ্য হয়ে পুরাতন ভবনে ঝুঁকি নিয়ে পঞ্চম শ্রেণির পরীক্ষা নিতে হয়।
স্কুল পরিচালনা কমিটির সদস্য আবিদ হোছাইন মানু জানান, পুরাতন ভবনটি খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো কাজ হয়নি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকরাম হোসেন জানান, ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনটিতে কোনো ক্লাস না নেয়ার জন্য প্রধান শিক্ষককে বলে দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি পুরো উপজেলায় যে কয়টা ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবন রয়েছে তা চিহ্নিত করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে মৌখিকভাবে তেওয়ারিখিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
লোহাগাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌছিফ আহমেদ জানান, ঝুঁকিপূর্ণ স্কুল ভবনটি সম্পর্কে আগে জানা ছিল না। এখন জানলাম, ভবনটি শিঘ্রই ভেঙে ফেলার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।