পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ব্যবহারিক পরীক্ষার টাকা না দেয়ায় একলাস হোসেন (১৫) নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে পিটিয়ে অজ্ঞান করার অভিযোগ উঠেছে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই শিক্ষক হলেন রুপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক রাসেদুল ইসলাম ও সহকারী শিক্ষক আবু সাঈদ।
আহত ছাত্রের ফুফু হাসিনা খাতুন জানান, রুপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী একলাস হোসেন এবারে ভাঙ্গুড়া জরিনা রহিম বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা দিচ্ছে। সোমবার সে ইনকোর্স ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা স্বাক্ষর নিতে নিজ বিদ্যালয় রুপসী উচ্চ বিদ্যালয়ে যায়। সে সময় ব্যবহারিক পরীক্ষার খাতা টাকা ছাড়া স্বাক্ষর না করাকে কেন্দ্র করে শিক্ষকের সঙ্গে তর্ক করার একপর্য়ায়ে ওই দুই শিক্ষক এখলাসকে বেধড়ক পেটায়।
তিনি জানান, একপর্যায়ে একলাস হোসেনকে টেনে হিঁচড়ে বিদ্যালয়ের দোতালাতে তুলে নেয়া হয়। সেখানে একটি কক্ষে আটকে রেখে লাঠি দিয়ে আবার পেটানো হয়। এ সময় একলাস জ্ঞান হারিয়ে ফেলে।
ফুফু হাসিনা খাতুন আরও জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুদুর রহমানের কাছে নিয়ে যান এবং তার কাছে অভিযোগ দেন। পরে ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একলাসকে ভর্তি করা হয়।
এ ব্যাপারে রুপসী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সাইদুল ইসলাম বলেন, ব্যবহারিক পরীক্ষা-সংক্রান্ত বিষয়ে ওই ছাত্রটি শিক্ষকদের ওপর চড়াও হলে উভয়ের মধ্যে সংর্ঘষ বাধে।
এ ব্যাপারে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল আলম বলেন, শিক্ষার্থীকে মারপিট করা যাবে না। বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউএনও মাছুদুর রহমান বলেন, ওই ছাত্র ও তার অভিভাবক আমার কাছে এসে অভিযোগ দিয়েছেন। তাকে মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হয়েছে। এরপর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।