নাটোরের লালপুরে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে টাকা নিয়েও বৃষ্টি আক্তার নামে এক স্কুলছাত্রীকে প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড না দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত ২৩ জুন লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতির কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী।
জানা যায়, করিমপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি আক্তার। সে একজন এতিম ও শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী। প্রায় আট বছর আগেই তার বাবা মারা যায়। বাবা মারা যাবার পর থেকেই সে তার ছোট ভাই মাইনুলকে নিয়ে ৩নং চংধুপইল ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের পোকন্দা গ্রামে নানী চায়না বেগমের সাথে থাকে। মা মনোয়ারা বেগম গার্মেন্টসে চাকরি করে তাদের সংসার চালান। নানা কষ্টের মধ্যেও পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে বৃষ্টি।
বৃষ্টি আক্তার দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘চংধুপইল ইউনিয়নের পোকন্দা ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য কামরুল ইসলাম আমার প্রতিবন্ধী ভাতার কার্ড করে দেয়ার জন্য তিন বছর আগে দুই হাজার টাকা নেন। কিন্তু টাকা নিয়ে তিনি কার্ড না দিয়ে বিভিন্নভাবে ঘুরাচ্ছেন। উপায়ান্তর না দেখে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছি।’
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য কামরুল ইসলাম টাকা নেয়ার কথা অস্বীকার করে দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, এটা পূর্বের একটা জের ছিল, প্রতিবন্ধী ভাতা বিষয়ে তার কাছ থেকে আমি কোনো অর্থ গ্রহণ করিনি।’
এ ব্যাপারে লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মুল বানীন দ্যুতি দৈনিক শিক্ষাডটকমকে জানান, ‘মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য বলা হয়েছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’