টেন্ডার ছাড়াই মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের জন্য ১২ লাখ টাকার কম্পিউটার সামগ্রী সরবরাহের কাজ দেয়া হয়েছে জামাতপন্থী ঠিকাদার হাসানকে। কঠোর গোপনীয়তায় তিন লটে মোট বারো লাখ টাকার কাজ দেয়া হয় গত রোববার। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের একজন সহকারি সচিব এই টেন্ডার কমিটির প্রধান। পিপিআর এর ১৮ ধারা অনুযায়ী বিনা টেন্ডারে কেনাকাটা করার সুযোগ নিয়ে জামাতপন্থী ঠিকাদারকে কাজ দিয়েছেন মহাপরিচালক। এছাড়া মহাপরিচালক বিল্লাল হোসেনের একজন ভাতিজা ও দুই ভাতিঝি জামাই গত তিন বছর যাবত অফিসেই রাত্রিযাপন করেন। ২০১৫ খ্রিস্টাব্দে এই তিন ভাতিজা ও ভাতিঝি জামাইদের সবাইকে অন্যনাম ধারণ করিয়ে কাজ নাই মজুরি নাই ভিত্তিতে চাকরি ও টাকা পরিশোধ করা হয়। দই বছর আগে এই তিনজনকে আউটসোসিং কোম্পানির মাধ্যমে এমএলএসএস হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। অধিদপ্তরের একাধিক সূত্র দৈনিকশিক্ষাকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: মহাপরিচালকের অপসারণ দাবি পাঁচ শিক্ষক সংগঠনের
গত সোমবার জামাত নেতা কামাল উদ্দিন জাফরির সঙ্গে মহাপরিচালকের গোপন বৈঠকের তথ্য জানার পর ক্ষোভে ফুঁসছেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। মহাপরিচালকের অপসারণ দাবি করেছে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সংগঠন জমিয়াতুল মোদার্রেছিনসহ পাঁচটি সংগঠন।
এদিকে বিল্লালের পক্ষে কয়েকজন ঠিকাদার ও বিএনপিপন্থী হিসেবে পরিচিত অধিদপ্তরের পরিচালক ড. মোহাম্মদ ছরওয়ার হোসেন। অপসারণ ঠেকাতে বিল্লাল যোগাযোগ করছেন সাবেক একজন জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে যিনি পরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মূখ্যসচিব হয়েছিলেন। ওই সচিবই বিল্লালকে মহাপরিচালক পদে বসান বলে শিক্ষাখাতের সবাই বলাবলি করছেন। এছাড়াও বিল্লাল যোগাযোগ রাখছেন শিবিরপন্থী কয়েকটি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে।