রাজশাহীর বাঘায় টোল না দেয়ায় শিক্ষার্থীদের একটি পিকনিক বাসে হামলা চালানো হয়েছে। এতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ৮ জন আহত হয়েছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে স্কুলের পিকনিক বাসে হামলা ও ভাংচুর ঘটনায় বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নির্দেশে সব ধরণের টোল আদায়ে নিষেধাজ্ঞায় মাইকিং করা হয়েছে।
ইউএনও শহিন রেজা জানান, সব ধরণের টোল আদায় বন্ধে মাইকিং করা হয়েছে। চাঁদা তুললে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আর পিকনিকের বাসে হামলার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।
বুধবার (২৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে বাঘা সদর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানায়। এ ঘটনায় বাসে থাকা শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ ৮জন আহত হন। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস, শিক্ষক কামরুল হাসান জুয়েল, শিক্ষার্থী রিফা তাসফিয়া তাসহিন অবনীসহ কয়েজন।
জানা যায়, বাঘা উপজেলার আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চারটি বাস দিয়ে গোলালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এসময় বাঘা পৌর এলাকায় পৌঁছলে পৌরসভার কর্তৃক টোল আদায়কারীরা গাড়ির পথরোধ করে গাড়ি প্রতি ১০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে দুটি বাস ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে চাঁদা আদায়কারীরা পালিয়ে যায়।
আড়ানী মনোমোহিনী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দাস দৈনিকশিক্ষা ডটকমকে জানান, আমাদের পিকনিকের গাড়ি টুঙ্গিপাড়ার যাচ্ছিল। পথে বাঘা পৌরসভার এলাকায় পৌঁছলে টোল আদায়কারীরা বাসটি পথরোধ করে। এসময় তারা ভাংচুর চালায়। পরে পুলিশ এসে আমাদের উদ্ধার করে।
বাঘা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শাহিনুর রহমান পিন্টু বলেন, পৌরসভা থেকে বালুর গাড়ি, ভটভটি, বড় ট্রাক থেকে টোল আদায় করার অনুমতি দেয়া হয়েছে। টাকা না পেয়ে গাড়ি ভাংচুর করাটা দুঃখজনক। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মহসীন আলী বলেন, পিকনিকের বাস চাঁদা দাবিতে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনায় কোন অভিযোগ আসেনি। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।