শেষ অবধি ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। এটা মন্দের ভালো। ছাত্র-ছাত্রীদের অধিকার, দাবি-দাওয়া, সমস্যা—এসব উপেক্ষিত থাকে। এসব সঠিকভাবে তুলে ধরা সম্ভব হয় না, যদি নির্বাচিত ছাত্রসংসদ না থাকে। এ জন্য ছাত্রসংসদ নির্বাচন প্রয়োজন ছিল। তবে ঢাবি কর্তৃপক্ষ আসলে তেমন প্রস্তুত ছিল না।
গোছানো সুষ্ঠু নির্বাচন করতে যা যা করার দরকার ছিল তা তারা করতে পারেনি। বস্তাভরা সিলমারা ব্যালট পাওয়া গেছে। একজন ভিপি প্রার্থীকে মারধর করা হয়েছে। অনেক ছাত্র-ছাত্রী ভোটই দিতে পারেনি। মোটা দাগে এগুলো নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। ঢাবি কর্তৃপক্ষ স্বাধীন। কিন্তু তারা কি স্বাধীনভাবে নির্বাচন করতে পেরেছে? অবস্থাদৃষ্টে মনে হয় না। কোনো একটা পক্ষের কাছে তাদের অসহায়ত্ত স্পষ্ট ধরা পড়েছে।
এক পক্ষ বাদে সবাই আবার নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। পুনর্নির্বাচনের জন্য এক দল ছাত্র-ছাত্রী আমরণ অনশন করছে। কিছু দুষ্কৃতকারী এ সুযোগে পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে। তাই এখনই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ ছাত্র আন্দোলন জমে গেলে তা দমানো কঠিন হয়ে পড়বে।
বানারীপাড়া, বরিশাল।
সৌজন্যে: কালের কণ্ঠ