ডাকসুর মর্যাদাহানি মেনে নেয়া যায় না - দৈনিকশিক্ষা

ডাকসুর মর্যাদাহানি মেনে নেয়া যায় না

দৈনিকশিক্ষা ডেস্ক |

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে আমরা প্রাচ্যের অক্সফোর্ড বলে গণ্য করি। এ বিষয়ে প্রখ্যাত সাহিত্যিক-সমালোচক আহমদ ছফার মন্তব্য হল- কার্জন হলের আদল বিবেচনা করে যদি অক্সফোর্ড বলা হয় তাহলে কোনো কথা নেই; কিন্তু একাডেমিক কন্ট্রিবিউশনের কথা বিবেচনায় নিলে অক্সফোর্ডের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনা চলে না। রোববার (২৯ ডিসেম্বর) কালের যুগান্তর প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।

নিবন্ধে আরও জানা যায়, সে তর্কে যাওয়ার সময় এখন নয়। তবে জাতীয় রাজনীতিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকার তুলনা মেলা ভার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই ’৫২, ’৬২, ’৬৯, ’৭১ আর ’৯০-এর গণআন্দোলনের প্রাণ ছিলেন।

বর্তমানেও এর প্রয়োজন ফুরিয়ে যায়নি। অনেকেই মনে করেন, রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে, অবদানের ক্ষেত্রে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) হচ্ছে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সংসদ। সাম্প্রতিক সময়ে ডাকসু ভিপি নূরুল হক নূরের ওপর বর্বরোচিত হামলা পক্ষান্তরে এ দ্বিতীয় সংসদের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করেছে। গণতন্ত্র নামক কফিনটির গায়ে ঠোকা হয়েছে শেষ পেরেক। এ হামলার নিন্দা করার ভাষা আমার নেই, তবে এ নিয়ে দু’কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি।

দীর্ঘ ২৮ বছর পর (১৯৯০-৯১’র পর) গত ১১ মার্চ হয়ে গেল ডাকসু নির্বাচন। ১৮টি হল সংসদের ভিপি পদের মধ্যে ১২টিতে সরকারি দলের ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ জয়লাভ করে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সংসদের ভিপি পদে ছাত্রলীগকে ছাপিয়ে জয় ছিনিয়ে নেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা নূরুল হক নূর। নূর হলেন ডাকসুর ২৬তম ভিপি। ১৯৬৩-৬৪ সালে ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে ১৪তম ভিপি ছিলেন বর্তমান ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। ১৮তম ভিপি বর্তমান আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি ছাত্রলীগের ব্যানারে নির্বাচন করেন। জাসদের বর্তমান সভাপতি আ স ম আবদুর রব ১৯তম ভিপি। ১৯৭২-৭৩ সালে ভিপি ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। বর্তমানে তিনি কমিউনিস্ট পার্টি অব বাংলাদেশের (সিপিবি) সভাপতি। নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জাসদ ছাত্রলীগের ব্যানারে ১৯৭৯ ও ১৯৮০ সালে দু’বার ভিপি নির্বাচিত হন; সে হিসেবে তিনি ২১ ও ২২ নম্বর ভিপি। একাদশ জাতীয় নির্বাচনে গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য সুলতান মুহাম্মদ মনসুর ১৯৮৯-৯০ সালে ছাত্রলীগের ব্যানারে ২৪তম ভিপি নির্বাচিত হন। বিএনপি নেতা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান ছাত্রদলের ব্যানারে ২৫তম ভিপি। লক্ষ করার বিষয় হল উল্লেখিত ভিপিরা কোনো না কোনো রাজনৈতিক ব্যানার ব্যবহার করেছিলেন। সে হিসেবে বর্তমান ভিপি নূরুল হক নূরের ‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ অনেকটাই অরাজনৈতিক এবং জাতীয় রাজনীতিতে এর কোনো অভিভাবক নেই। তাদের পরিচিতির একমাত্র কারণ সফল ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’। আমি এখানে শুধু ভিপিদের নাম উল্লেখ করেছি, যার কারণ আছে। ছাত্র সংসদের প্রতিটি পদেরই স্ব-স্ব গুরুত্ব রয়েছে। কিন্তু ‘ভিপি’ নামটাতে একটা আলাদা ‘ফ্লেভার’ আছে, একটা অতিরিক্ত আকর্ষণ আছে।
বর্তমান ভিপি নূরুল হক নূর ব্যক্তিগতভাবে এমন কোনো আকর্ষণীয় ব্যক্তি নন। কোন সময়ে, কোন চেতনার আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা একজন নূরকে আবিষ্কার করেছে তা দেখাটা জরুরি। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছে তা নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন যত বিতর্কিতই হোক না কেন, প্রকৃত সত্য হল দেশের আমজনতা, বিশেষ করে বিএনপি তা প্রতিরোধ করতে পারেনি। দেশে যখন নির্বাচন ব্যবস্থার ওপর মানুষের আস্থা হারিয়ে যেতে বসেছে, তখন নূরের আগমন একটি প্রতিবাদী সত্তা হিসেবে। বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এ দেশের ৪২টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং প্রায় ১০০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সবচেয়ে মেধাবী শিক্ষার্থীদের জায়গা হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেসব ‘ক্রিম’ শিক্ষার্থী তাদের চাওয়া-পাওয়ার নেতা হিসেবে নূরকে বেছে নেন। সফল কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েই নূর শিক্ষার্থীদের আস্থার মানুষ হয়ে ওঠেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ কারণেই অনন্য। সারা দেশের মানুষ যদি বঞ্চনা-লাঞ্ছনাকে মেনে নেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তা মেনে নিতে পারেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ১৯৪৮ সাল থেকে আজতক প্রায় ৭০ বছর ধরে এ বৈশিষ্ট্যে মহিমান্বিত। আজকে ভাবতে অবাক লাগে, এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসেই, ডাকসু ভবনেই ভিপি নূরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। এর চেয়ে লজ্জা আর কী হতে পারে!

সরকারের উচ্চ মহল থেকে এ ন্যক্কারজনক ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে এবং আইনগত ব্যবস্থার কথাও উচ্চারিত হয়েছে। কিন্তু এতেই আমরা সন্তুষ্ট থাকতে পারছি না। কেননা সরকার সমর্থকদের রাজনৈতিক ‘বডি ল্যাংগুয়েজ’ স্বস্তিকর নয়। জনৈক মন্ত্রী ঘটনার নিন্দা করার পাশাপাশি নূরের সঙ্গে ‘বহিরাগত’ থাকার বিষয়ে আঙুল তুলেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও অনুরূপ আচরণ করছে। অভিযোগ উঠেছে, হামলার সময়কার সিসি ফুটেজ প্রক্টরের সহায়তায় সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এগুলো ভালো লক্ষণ নয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ‘সম্পূর্ণ সংরক্ষিত এলাকা’ নয়। যদি অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজের মতো বিশ্বের নামকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কথা বলা হয়, এটি তা-ও নয়। এখানে ঐতিহ্যের ছোঁয়া নিতে অনেকেই আসেন। ‘বহিরাগত’ কোনো খারাপ শব্দ নয় এবং এখানে প্রতিহত করার কোনো বিষয় নেই। বহিরাগতরা কোন উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করেছেন সেটাই বিবেচনার বিষয়। যদি নূরের সঙ্গে দু’একজন বাইরের শিক্ষার্থী থেকেও থাকেন এবং তারা যদি শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট না করেন, তাহলে সেটিকে কেন বড় কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে? এটা কি শাক দিয়ে মাছ ঢাকা নয়? আর নূরকে সরকার সমর্থকরা শুধু ক্যাম্পাসেই নয়, ক্যাম্পাসের বাইরে, ঢাকার বাইরে একাধিকবার শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে, যার কোনো বিচার হয়নি। সেই অনাকাক্সিক্ষত ‘স্পর্ধা’র সম্প্রসারিত রূপটিই ক’দিন আগে আমরা ডাকসু ভবনে দেখতে পেলাম। সচেতন নাগরিকরা মনে করেন, নূর নামের গণতন্ত্রের নিভু নিভু এ প্রদীপটিকে চিরকালের জন্য নিভিয়ে ফেলাই হামলাকারীদের উদ্দেশ্য। আর এ উদ্দেশ্যকে সফল করতে কসম খেয়েছে সরকার সমর্থিত ছাত্রসংগঠন। এর একটা বিহিত করা ছাত্রসমাজের দায়িত্ব।

গত ১০ বছর ধরে আমাদের উন্নয়নের গল্প শুনিয়ে গণতন্ত্রকে আড়ালে নির্বাসন দেয়া হয়েছে, শোনানো হয়েছে মাথাপিছু আয়ের কথা। কিন্তু অর্থনীতির একজন ছাত্র হিসেবে পড়েছি, ‘উন্নয়ন হচ্ছে সমাজের পরিবর্তন- যে পরিবর্তন শুধু আয়ের দিকে দৃষ্টি না দিয়ে একটা সমাজে মানুষের সক্ষমতা/সামর্থ্য, ফাংশনিং এবং স্বাধীনতার ওপর গুরুত্ব প্রদান করে থাকে। তেলসমৃদ্ধ অনেক দেশে মাথাপিছু আয় খুব বেশি আছে, কিন্তু সেই সব দেশে মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা, নারীর অধিকার, গণতন্ত্র ইত্যাদির অভাবের প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। অথচ তেলসমৃদ্ধ অনেক দেশের চেয়ে ভারতের মাথাপিছু আয় অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও ভারতে গণতন্ত্র আছে’ (আবদুল বায়েস ও মাহবুব হোসেন; ‘গল্পে গল্পে অর্থনীতি’; পৃষ্ঠা : ৫)।

আমাদের ভুললে চলবে না যে, অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে অনেক অমানবিক অভিশাপেরও আগমন ঘটে। আর মানুষ শুধুই অর্থের জন্য, অর্থের ওপর ভর করে বেঁচে থাকতে পারে না। পেটের ক্ষুধার পাশাপাশি মনের ক্ষুধার গুরুত্বও অপরিসীম। ২০১৯ সালে অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী দম্পতি অভিজিৎ ভি. ব্যানার্জি ও ইসথার ডুফলো তাদের প্রকাশিত গ্রন্থ ‘Good Economics for Hard Times’-এর উৎসর্গের জায়গায় লিখেছেন, ‘To our children, Noemie and Milan, in the hope that they grow up to a more just and humane world’. বিজ্ঞজনরা কেবল অর্থনৈতিক উন্নয়নে স্বস্তি পাচ্ছেন না। তারা এমন একটি পৃথিবী প্রত্যাশা করেন যেখানে সুখ-শান্তি-ন্যায্যতা-মানবিকতার বিষয়গুলো অধিকতর গুরুত্ব পাবে। লাঞ্ছনা-বঞ্চনা নামক অভিশাপ যেন মানুষের জীবনে না আসে, আয়-বৈষম্য যেন সহনীয় মাত্রায় থাকে।

ডাকসু ভিপি নূরুল হক নূর ও তার সহযোগীদের ওপর এ বর্বরোচিত হামলা শতভাগ অনাকাক্সিক্ষত হলেও অস্বাভাবিক নয়। বিএনপির ধারাবাহিকতায় আওয়ামী লীগও গত এক দশক ধরে গণতান্ত্রিক মানসিকতাকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। এ জবরদস্তিমূলক জাতীয় রাজনীতির প্রভাব পড়েছে ছাত্র রাজনীতির ওপর। এ থেকে আমরা পরিত্রাণ চাই।

আওয়ামী রাজনীতিকে সমৃদ্ধ করার আন্তরিক আকাঙ্ক্ষা যদি কোনো পণ্ডিত করে থাকেন তার নাম অধ্যাপক রেহমান সোবহান। হালের আওয়ামী লীগ নিয়ে অধ্যাপক রেহমান সোবহানের একটি নিবেদন দিয়েই শেষ করব; ‘বর্তমানে ক্ষমতাসীন থাকা দলটির রাজনৈতিক ঐতিহ্যের প্রতি আজীবন সহানুভূতিশীল একজন হিসেবে আমার শুধু দুঃখ হয় এই দেখে যে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া পথপ্রদর্শনমূলক রাজনৈতিক আদর্শ থেকে আমরা বিচ্যুত হয়ে গেছি। ... এই বৃদ্ধ বয়সে আমার রাজনৈতিক অবস্থানে বড় কোনো পরিবর্তন আনতে পারব না। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে আমি শুধু এ আশাই করতে পারি, তার রাজনৈতিক উত্তরাধিকারীদের হাতে ভুলত্র“টি সংশোধন করার সময় এখনও আছে। পেশিশক্তি দিয়ে জনগণের আন্দোলন দমন না করে তাদের কাতারে এসে দাঁড়িয়ে ভালোবাসা ও সমর্থন জয়ের সময় এখনও আছে’ (প্রথম আলো, ০৯.০৯.২০১৮)।

মুঈদ রহমান : অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0052211284637451