শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস নষ্ট দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে। চুরি হয়ে গেছে স্কুলের সামনের সিসি ক্যামেরা। পটুয়াখালীর কলাপাড়ার লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় বরিশাল বিভাগের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষার এক দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করলেও সেই ডিজিটাল শিক্ষা কার্যক্রম এখন ভেস্তে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এমনকি শিক্ষা কর্মকর্তাও বিষয়টি জানেন না বলে দায়িত্ব এড়িয়ে গেছেন। কলাপাড়ার লতাচাপলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ৫১৭ জন।
শিক্ষকের ১০টি পদ থাকলেও কর্মরত আছেন ৭ জন। দুইজন শিক্ষক আছেন প্রশিক্ষণে। একটি পদ শূন্য রয়েছে। সাগর তীরবর্তী এ বিদ্যালয় বরিশাল বিভাগের মধ্যে ডিজিটাল শিক্ষায় শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠের সুনাম অর্জন করলেওসঠিক তদারকির অভাবে বিদ্যালয়টি ফিরে গেছে আগের সেই ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।
একাধিক অভিভাবক অভিযোগ করেন, দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস নষ্ট। কিন্তু ঠিক করা হচ্ছে না। স্কুলের সিসি ক্যামেরা চুরি হয়েছে। কিন্তু থানায় জিডি করা হয়নি। সরকারি সম্পত্তি এভাবে চুরি হলেও কেন আইনি সহায়তা নেয়া হচ্ছে না। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, সকাল হলেই লাইন ধরে তারা আঙুলের ছাপ দিয়ে ক্লাসে ঢুকতেন। কিন্তু মেশিন নস্ট হওয়ায় তাদের খাতায় রোল ডাকা হচ্ছে।
আগের ডিজিটাল হাজিরাই ভালো ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এ বিদ্যালয়ে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার সাব সেন্টার এবং পিএসসি পরীক্ষার সেন্টার। সিসি ক্যামেরা থাকলে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করতে সমস্যা হতে পারে এজন্য হয়তো একটি চক্র রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ের সামনের ক্যামেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। বিষয়টি বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটি অবগত থাকলেও শুধু একটি রেজুলেশন করে দায়িত্ব শেষ করেছে।
এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জসিম উদ্দিন সিসি ক্যামেরা চুরি হওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, একটি চুরি হলেও আরও ছয়টি সচল আছে। বিদ্যালয়ে কিছুদিন বিদ্যুৎ সংযোগ ছিলো না। এ কারণে গত শবে বরাতের রাতে এ সিসি ক্যামেরা চুরি হয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও থানায় জিডি করা হয়নি। তবে বিদ্যালয়ের ডিজিটাল হাজিরা ডিভাইস নস্ট থাকায় এখন হাজিরা খাতায় উপস্থিতি গণনা করা হচ্ছে।
কলাপাড়া উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. জালাল আহমেদ জানান, সরকারি সম্পত্তি চুরি হলে রেজুলেশন করে থানায় জিডি করার নিয়ম। কিন্তু কেন তারাজিডি করেননি বিষয়টি তিনি জানেন না।