বরিশাল গৌরনদী উপজেলায় ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বসতবাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার দুপুরে ও বিকেলে এ ঘটনায় সাত পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে ১০-১২টি মোটরসাইকেল।
উত্তর বিজয়পুর এলাকায় একটি ডোবা ভরাট করার কর্তৃত্ব নিয়ে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় বলে জানা গেছে। গৌরনদী
উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য দি কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কার্লভ) নামের একটি প্রতিষ্ঠানের সাবেক পরিচালক রাশেদুজ্জামান ঝিলাম উত্তর বিজয়পুর এলাকায় মৌরি ক্লিনিকের পাশে একটি ডোবা ক্রয় করেন। স্থানীয় ৬ নম্বর ওয়ার্ডের পৌর কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান শামীমকে দিয়ে তিনি ডোবা বালু দিয়ে ভরাট করান। বালু ভরাটের কাজটি না পেয়ে ক্ষিপ্ত হন একই এলাকার বাসিন্দা ও ছাত্রলীগ নেতা সুমন মাহমুদ।
উপজেলার টরকি বন্দরে ঝিলামের বাসায় শনিবার দুপুর পৌনে ৩টার দিকে সুমন মাহমুদের নেতৃত্বে ১০-১২ জন যুবক গিয়ে ঝিলাম ও তার স্ত্রীকে মারধর এবং বাসার আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পাল্টা হামলা হিসেবে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতিকুর রহমান শামীম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জোবায়েরুল ইসলাম সান্টু ও সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান দ্বীপের নেতৃত্বে সুমনের শ্বশুরবাড়িতে ইট নিক্ষেপ ও পরে সুমনের বাসায় গিয়ে ভাঙচুর চালানো হয়।
এ সময় দু'পক্ষের সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে গৌরনদী থানার ওসি গোলাম সরোয়ারসহ সাত পুলিশ সদস্য আহত হন।
অভিযোগ অস্বীকার করে সুমন মোল্লা বলেন, বালু ভরাট নিয়ে বিরোধ মীমাংসার কথা বলে তাকে বাসায় ডেকে নিয়ে তার ওপর হামলা চালান রাশেদুজ্জামান। পরে রাশেদুজ্জামানের চাচাতো ভাই জোবায়েরুল ইসলামের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী তার বাড়িতে হামলা চালিয়ে বসতঘর ব্যাপক ভাঙচুর ও তাতে লুটপাট চালায়। এ সময় তার মা মিনারা বেগম (৫০) ও সরকারি গৌরনদী কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেনকে (৩৬) পিটিয়ে আহত করে হামলাকারীরা।
জোবায়েরুল ইসলাম সান্টুর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তিনি অস্বীকার করেন।
ওসি গোলাম ছরোয়ার বলেন, দু'জনকে আটক করা হয়েছে।