বুয়েট ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েও অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যাৗয়া তুহিনের পড়াশুনার দায়িত্ব নিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলম।
তুহিনের বাড়ি রাজশাহীর বাঘা উপজেলার মনিক গ্রামে। তার বাবা মানসিক প্রতিবন্ধী। মা-এবং তুহিন মিলে অতিকষ্টে সংসার পরিচালনা করে আসছেন। তুহিনের ইচ্ছে লেখাপড়া করে একজন আদর্শ মানুষ হবে। সেই স্বপ্নকে কাজে লাগিয়ে এসএসসি এবং এইসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ অর্জন করে তুহিন। সর্বশেষ এ বছর বুয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সুযোগ পেলেও অর্থাভাবে ভর্তি না হওয়ার সংবাদ ছাপা হয় একটি জাতীয় দৈনিকে। খবরটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। সেই খবরে দৃষ্টি পড়ে বর্তমান সরকারের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আলহাজ শাহরিয়ার আলমের। তিনি তাৎক্ষণাত ঘোষণা দেন এখন থেকে তুহিন মাহমুদের পড়ালেখার যাবতীয় দায়িত্ব তার।
বাঘা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহিন রেজা বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী তুহিনের পড়ালেখার বিষয়ে জেলা প্রশাসক আন্তরিক ছিলেন। ইতোমধ্যে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও স্থানীয় সাংসদ তুহিনের পড়ালেখার দায়িত্ব নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। এই খবর শুনে প্রতিমন্ত্রীর প্রতি আন্তরিক অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন জেলা প্রশাসকসহ তুহিনের বাবা-মা।
তুহিনের মা লতিফা বেগম বলেন, তাদের এক মেয়ে ও দুই ছেলে। সবার বড়ো মেয়েটা। দুই ছেলের মধ্যে তুহিন বড়ো। তুহিন বরাবর পড়াশোনায় ভালো। কখনো প্রাইভেট বা কোচিং করাতে হয়নি। বাঁশের খুঁটির ওপর কাঠের তক্তা দিয়ে তার উপর বই রেখে সে পড়ালেখা করে আসছে।
তুহিনের পড়া-লেখার যাবতীয় দায়িত্ব পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিয়েছেন শুনে লতিফা বেগম বলেন , আমাদের মন্ত্রী অত্যন্ত ভালো মানুষ। আমার ছেলের মুখে শুনেছি, তিনি নাকি তার সম্মানী ভাতার সম্পূর্ণ অর্থ শিক্ষাখাতে ব্যায় করেন। আমি তার জন্য আল্লাহপাকের কাছে নামাজান্তে দোয়া করবো। বিধাতা যেন আমাদের মন্ত্রীকে সব সময় ভালো রাখেন।