বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যার পর আবার কথা উঠছে দলীয় ‘সহযোগী’ সংগঠন হিসেবে ক্যাম্পাসে চলমান ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করার। আন্দোলনরত বুয়েটের শিক্ষার্থী এবং তাঁদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করা শিক্ষক—সবাই এ ধারার ছাত্ররাজনীতি বন্ধের পক্ষে মত প্রকাশ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ছাত্র-শিক্ষক উভয় রাজনীতি বন্ধেরই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমার তো মনে হয়, বর্তমান সময়ে ক্ষমতাসীনদের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ার কারণে ছাত্রলীগ সব ক্যাম্পাসে যেভাবে উন্মত্ততা ছড়াচ্ছে, তাতে একমাত্র দলকানা ছাত্র-শিক্ষক ও সুবিধাবাদী রাজনীতিসংশ্লিষ্ট ছাড়া এ ধারার রাজনীতি বলবৎ রাখার পক্ষে কেউ মত দেবেন না। ক্যাম্পাসে সুস্থচিন্তার সবাই মনে করেন, দলীয় ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধ করতে পারলে শিক্ষার মানোন্নয়নের পথ ৫০ শতাংশই প্রশস্ত হতো। ছাত্ররাজনীতি থাকতে পারে শুধু বলয়মুক্ত পরিবেশে। আমরা দেখছি সুবিধাপ্রত্যাশী সুধীসমাজের অনেকেও মোসাহেবি করতে গিয়ে এমন আচরণ করছেন যে তাতে দলের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাচ্ছে। আলোচনার শেষ পর্বে এ প্রসঙ্গ যুক্ত করব। সোমবার (২১ অক্টোবর) কালের কণ্ঠ পত্রিকায় প্রকাশিত এক নিবন্ধে এ তথ্য জানা যায়।
নিবন্ধে আরও বলা হয়, সমস্যা হলো ছাত্ররাজনীতির সুবিধাভোগী রাজনৈতিক নেতারা বর্তমান ধারার ছাত্র-শিক্ষক রাজনীতি বন্ধের দাবি মন থেকে মানবেন না। তাঁরা সব জেনেও জ্ঞানপাপীর মতো এ ধারার ছাত্ররাজনীতির পক্ষে সাফাই গাইতে থাকবেন। ক্ষমতায় যাওয়ার সম্ভাবনা নেই, তবুও বাম দলের নেতারা চাইবেন না এ জন্য যে জাতীয় রাজনীতির অঙ্গনে তাঁদের যে ক্ষয়িষ্ণু দশা তাতে প্রাণশক্তি জানান দেওয়ার জন্য দলীয় ছাত্ররাজনীতির হাতিয়ার দরকার। আর সরকারি দল তো সব পর্বেই সংকটে ছাত্র লাঠিয়ালই ব্যবহার করবে। তাই সব জেনেও না জানার ভান করেন। বিএনপি, জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লীগের সব পর্বেই একই ছক। দলীয় ছাত্ররাজনীতির পক্ষের আবার কেউ কেউ এখন এ যুক্তিও তুলছেন, দলীয় ছাত্ররাজনীতি না থাকলে চ্যালেঞ্জ থাকবে না বলে অন্ধকারে থাকা ধর্মীয় মৌলবাদী দলগুলো মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। তার অর্থ, এসব মৌলবাদী শক্তিকে দেশছাড়া করবেন মারকুটে ছাত্ররা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কি আগেই আত্মসমর্পণ করে রেখেছে? দলীয় বৃত্তের বাইরে থাকা ছাত্রসংগঠন কি প্রয়োজনে ভূমিকা রাখতে পারবে না?
অনেক দিন আওয়ামী লীগ শাসনক্ষমতায় আছে। তাই ছাত্রলীগ দাপটের সঙ্গেই আছে শিক্ষাঙ্গনে। ক্যাম্পাসে বিরোধীদলীয় ছাত্রসংগঠন সক্রিয় না থাকায় বা না থাকতে পারায় নিজেদের মধ্যে অন্তঃকোন্দলে প্রায়ই লিপ্ত থেকেছে। যখন ক্যাম্পাসের সাংস্কৃতিক সংগঠনের ছেলে-মেয়েরা নাটক করছেন, আবৃত্তি করছেন, সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন করছেন, বিতর্ক অনুষ্ঠানে নিজেদের যুক্ত রেখেছেন, মেধাচর্চা করে ভবিষ্যৎ গড়ার চেষ্টা করছেন; সেখানে ছাত্রলীগের সক্রিয় নেতাকর্মীরা কোনো গঠনমূলক কাজে যুক্ত না থাকায় নিজেদের মধ্যে হল দখলের ঝগড়ায়, টেন্ডার আর কমিশনবাজির ভাগবাটোয়ারার দ্বন্দ্বে ক্যাম্পাসে লাশ ফেলছেন। হলে হলে গেস্টরুমে, বিশেষ রুমে টর্চার সেল বানাচ্ছেন। সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর মনে ভীতি ছড়িয়ে মাৎস্যন্যায় তৈরি করছেন। সারা দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিন্ন চিত্র থাকার পরও তাঁদের নিয়ন্ত্রক কেন্দ্রীয় নেতারা কিছুই জানেন না এটি মেনে নেওয়া সাধারণ মানুষের জন্য খুব কষ্টের হবে।
বিশ্বজিৎ হত্যা থেকে আবরার হত্যা পর্যন্ত ছাত্রলীগের সব হারমাদ আচরণের পর আওয়ামী লীগ নেতাদের মুখে প্রায়ই শুনতে হয়, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী, আগাছা-পরগাছা। এ কথাগুলোর মধ্যে নেতাদের অসহায়ত্বের প্রকাশ ঘটছে। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কী এমন নেতৃত্বগুণ যে ভিন্নমতের আগাছারা ঢুকে গেলেন আর আপনারা টেরই পেলেন না। পেলেন না তো পেলেন না, তাঁদের আবার বড় বড় পোস্টে পদায়নও করলেন। বঙ্গবন্ধুর গৌরবের আওয়ামী লীগ ও ঐতিহ্যের ছাত্রলীগের কি তাহলে এই দশা দাঁড়িয়েছে! অনুপ্রবেশকারী পরগাছারা দলটিকে ডোবাচ্ছেন আর সবাই চেয়ে চেয়ে দেখছেন। আমরা মনে করি কেন্দ্রীয় নেতারা যদি সততার সঙ্গে সুস্থধারায় রাজনীতি করার দিকনির্দেশনা দিতে পারতেন, ছাত্রদের ক্যাম্পাসে শাসক না বানিয়ে ছাত্রবান্ধব করে তুলতে পারতেন, তাহলে আজ এমন অবস্থায় পড়তে হতো না।
আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে যদি সবিনয়ে প্রশ্ন করি আপনারা কি দুটি উদাহরণ দিতে পারবেন ছাত্রলীগ কখনো ছাত্রকল্যাণমূলক প্রতিনিধিত্বশীল কোনো কাজে নিজেদের যুক্ত রেখেছে! বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে? ছাত্রদের সুখ-সুবিধা বাড়াতে কোনো ভূমিকা রেখেছে? তাহলে ষণ্ডাতন্ত্র কায়েম করে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীর সহানুভূতি পাবেন কেমন করে! আজ বুয়েটে যে ছাত্র-ছাত্রীদের উত্তাল সমাবেশ, এখানে আবরারের হত্যাকাণ্ড একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ মাত্র। আসলে দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ এটি। দেয়ালে পিঠ ঠেকা এই বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা যদি নিকট-ভবিষ্যতে ছাত্রলীগকেই প্রতিহত করতে এগিয়ে আসেন তখন কিন্তু শাসকদল অনেক কিছু হারাবে। আশা করি সময় থাকতে তারা বাস্তবতার উঠোনে নেমে আসবে।
আওয়ামী লীগের মতো বড় দল, যার দীর্ঘ সংগ্রামী ঐতিহ্যের সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো মুকুটে স্বর্ণালি পালক যুক্ত আছে, সর্বোপরি দলনেত্রী শেখ হাসিনার মতো দূরদর্শী দৃঢ় ব্যক্তিত্বসম্পন্ন দেশপ্রেমিক নেত্রী রয়েছেন, সেখানে স্তাবক পরিবেষ্টিত থাকার তো প্রয়োজন নেই। অতি আওয়ামী লীগার এবং জি হুজুর মার্কারা সাধারণত সুপথ দেখাতে পারেন না। জটিল করে তোলেন নীতিনির্ধারণের জায়গাটি। এ ভাবনা আমাকে শঙ্কিত করছে দীর্ঘদিন থেকে। অতিসম্প্রতি একটি অভিজ্ঞতা আমার ভাবনাটিকে বাড়িয়ে দিয়েছে।
কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন প্রবীণ অধ্যাপক দুঃখ করে বলছিলেন, দেখুন মুক্তিযুদ্ধের গৌরব বুকে ধারণ করে বেড়ে উঠেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রাজনীতি টানেনি বলে নির্লিপ্ত থেকেছি। এর পরও স্বার্থের টান পরায় আমাকেও জামায়াত সমর্থক বানানোর চেষ্টা চলছে। এরই একটি পুনরাবৃত্তি হলো যেন গত সপ্তাহে। একটি টিভি চ্যানেলে টক শোতে অংশ নেওয়ার জন্য গেছি। একটু আগেই পৌঁছেছিলাম। একটু পরে এলেন বন্ধুপ্রতিম একজন সিনিয়র সাংবাদিক। একটি জাতীয় দৈনিকের সম্পাদকও ছিলেন। সম্প্রতি তিনি দায়িত্বে নেই। নিজেই একটা কিছু করার চেষ্টা করছেন বলে জানলাম। তিনি যে মাত্রায় সরকারের বিদূষক আশা করি সফল হবেন। কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে তিনি ‘আপা’ সম্বোধন করেন! কথা বলতে গিয়ে তিনি একজন বিশিষ্ট লেখক ও শ্রদ্ধেয় প্রবীণ অধ্যাপককে জামায়াত মানসিকতার বলে মন্তব্য করলেন। এ ধরনের মন্তব্য শোনার পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না বলে চমকে উঠলাম। আমি এই শ্রদ্ধেয় অধ্যাপককে কাছে থেকে জানি। আমার মনে হয় দেশবাসীর মনেও অস্পষ্টতা নেই। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের পর স্থানীয় তরুণদের সংগঠিত করতে তাঁর পরিবারের বিশেষ ভূমিকা ছিল। এই অপরাধে জামায়াত ও বিহারিদের প্ররোচনায় তাঁদের বিশাল বাড়ি আগুনে পুড়িয়ে ছাই করে দিয়েছিল পাকিস্তানি বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গ্রামে তাঁদের পরিবার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সময়ে খাবার সরবরাহ করত। এই দেশপ্রেমিক অধ্যাপক কারো কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্য মোসাহেবি করেননি কখনো। আমি সাংবাদিক বন্ধুকে বললাম, একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে আমি এত তথ্য ঘাটতি আশা করিনি। বললাম, লেখালেখিতে আপনি কী অবদান রেখেছেন জানি না। তবে এই অধ্যাপকের অবদান আমার জানা। তিনি নীরবে কাজ করে যেতে পছন্দ করেন। তাঁর রচিত আঞ্চলিক মুক্তিযুদ্ধের একটি গ্রন্থ সরকারি প্রজেক্টে বহু কপি কিনে দেশের নানা স্কুলে বিতরণ করা হয়েছে। তাঁর রচিত বঙ্গবন্ধুর জীবনী নিয়ে গবেষণাধর্মী গ্রন্থ বাজারে রয়েছে। ছোটদের জন্যও বঙ্গবন্ধুর জীবনী লিখেছেন তিনি। ৭ই মার্চের ভাষণ নিয়ে একটি বিশ্লেষণধর্মী গ্রন্থ রচনা করেছেন এই গবেষক অধ্যাপক। আর এমন একজন দেশপ্রেমিক মানুষকে মুহূর্তে জামায়াত মনোভাবাপন্ন মানুষ বানিয়ে ফেললেন আপনি!
প্রশ্ন করলাম কেন আপনার মনে হলো অধ্যাপক জামায়াত মনোভাবাপন্ন। এবার অদ্ভুত উত্তর পেলাম। বললেন, তিনি অমুক বিশ্ববিদ্যালয়ের অমুক জামায়াত মনোভাবের অধ্যাপকের একটি বই সম্পাদনা করেছেন। বুঝলাম নিজেকে আওয়ামী লীগের একান্ত নিবেদিত বলে প্রচার করা এই প্রবীণ সাংবাদিকের তথ্য ঘাটতি কত ব্যাপক। আর একজন অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন পণ্ডিত অধ্যাপককে কলঙ্কিত করার হীন মানসিকতা কতটা ধারণ করেন। ইতিহাস, বিশেষ করে ইসলামের ইতিহাসের শিক্ষক-শিক্ষার্থীর কাছে এই পণ্ডিত অধ্যাপক বরেণ্য ব্যক্তি। এই অশীতিপর অধ্যাপককে প্রফেসর ইমেরিটাসে সম্মানিত করেছে তাঁর বিশ্ববিদ্যালয়। সারা জীবন শিক্ষকতা, গবেষণা ও গ্রন্থ প্রণয়নে কাটিয়েছেন। তিনি বরাবরই রাজনীতিতে নিরাসক্ত। বিএনপি আমলে পেশাগত জটিলতার কারণে বিএনপির শিক্ষক ফোরামে যুক্ত হতে হয়েছিল। সক্রিয় রাজনীতিতে কখনো যুক্ত থাকেননি। বহুবার তাঁর মুখে মুক্তিযুদ্ধের সময় জামায়াতের ভূমিকার সমালোচনা করতে শুনেছি। বিএনপির শিক্ষক ফোরামে যুক্ত থাকার পরও জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলা তিনি অনৈতিহাসিক বলেছেন। আর আমাদের সাংবাদিক বন্ধু তাঁকে এক মুহূর্তে জামায়াত বানিয়ে ছাড়লেন।
আমি বিনয়ের সঙ্গে সাংবাদিক বন্ধুর কাছে জানতে চাইলাম, আপনি যে বই সম্পাদনার জন্য আমাদের লেখক অধ্যাপক বন্ধুকে জামায়াত মানসিকতার বললেন, সেই বইটি নিজে দেখেছেন? নীরব রইলেন সাংবাদিক। আমি তাঁকে তথ্য দিলাম। প্রবীণ অধ্যাপকের কোনো গ্রন্থ নয়—এটি ছিল এই প্রফেসর ইমেরিটাসের সম্মানে নিবেদিত একটি স্মারক গ্রন্থ। তাঁর শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী যাঁরা বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, তাঁরা নিজ শিক্ষকের স্মৃতিচারণা করেছেন। সেই সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের কয়েকটি গবেষণা প্রবন্ধ। এই শিক্ষকদের কয়েকজন আমাদের লেখক অধ্যাপকের কাছে এসেছিলেন স্মারক গ্রন্থটি সম্পাদনা করে ছাপার ব্যবস্থা করার জন্য। আরো একজন অধ্যাপকও সম্পাদনায় যুক্ত ছিলেন। তিনি একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতা। ছাত্রজীবনেও নিবেদিতপ্রাণ ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন। আমি জানি না এ ধারার অতি আওয়ামী লীগাররা এই অধ্যাপককেও জামায়াত বানাবেন কি না।
আমি সবার সম্মান রক্ষার্থে কারো নাম উল্লেখ করলাম না। আশা করি পাঠক ক্ষমা করবেন। আজ এই অভিজ্ঞতা উল্লেখ করতে হলো এ জন্য যে এই বিপ্লবী আওয়ামী লীগ ভক্তদের কারণে ঐতিহ্যবাহী দলটির নীতিনির্ধারণে মাঝেমধ্যে সংকট তৈরি হয়। আরো একটি সংকট রয়েছে। স্কুলে অর্থনীতির বইয়ে পড়েছিলাম খারাপ মুদ্রা ভালো মুদ্রাকে বাজার থেকে ঝেটিয়ে বিদায় করে। এই অতি বিপ্লবীদের কারণে দেশপ্রেমিক নির্লোভ আওয়ামী লীগের কল্যাণকামী বিদগ্ধ মানুষেরা দূরে সরে যাবে কি না! আমি বিশ্বাস করি, এই অভাবটা একদিন আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা গভীরভাবে অনুভব করবেন।
এ কে এম শাহনাওয়াজ : অধ্যাপক, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়