দুষ্টুমি করার অভিযোগে বগুড়ার শাজাহানপুরে আসিফ নামে ৮ বছরের এক শিশু শিক্ষার্থীকে উপর থেকে ফেলে দিয়ে পা ভেঙে দিয়েছেন সাইফুল ইসলাম নামে এক শিক্ষক।
আসিফ জেলার শাজাহানপুর উপজেলার পোয়ালগাছা নুরানী কওমী মাদরাসার ছাত্র ও একই গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে।
এ ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন। তবে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করেছেন।
স্থানীয়রা জানায়, মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে আসিফ অন্যান্য ছাত্রদের সঙ্গে খেলছিল। এসময় শিক্ষক সাইফুল ইসলাম অসময়ে খেলা ও দুষ্টুমির অপরাধে দু’হাতে ধরে আসিফকে উঁচু করে পাকা ঘরের মেঝেতে ফেলে দেন। এতে আসিফের পা ভেঙে যায় ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতে থাকে। পরে আসিফের চিৎকারে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষকরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে ভর্তি করে দেন। এ ঘটনা জানাজানি হলে এলাকার লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মাদরাসায় আসতে থাকেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই শিক্ষক পালিয়ে যান।
চিকিৎসক জানান, আসিফের এক পা ভেঙে গেছে এবং প্রচন্ড আঘাতের কারণে মুখ দিয়ে রক্ত ঝড়েছে।
মাদরাসার সাধারণ শাখার প্রধান শিক্ষক বেলাল হোসেন জানান, ঘটনার পর থেকে শিক্ষক সাইফুল ইসলাম পলাতক রয়েছেন। বিকেলে এক জরুরি সভা ডেকে ওই শিক্ষককে চাকুরিচ্যুত করা হয়েছে।
আসিফের বাবা সিরাজুল ইসলাম একজন দিনমজুর। তিনি ছেলের দুর্ঘটনার খবর পেয়ে কর্মস্থল থেকে ক্লিনিকে ছেলের কাছে ছুটে যান। তিনি বলেন, আমার ছেলেকে নিমর্মভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
এর জন্য তিনি ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন এবং এ ঘটনায় তিনি মামলা করবেন বলেও জানান।