চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বৃদ্ধি ও কোটা ব্যবস্থা সংস্কার এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের দু’বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু ওই সব বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীদের ওপর বর্বরোচিত হামলার বিচার এখনও হয়নি। শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অধিকার হরণের ঘটনাগুলো এখনও জবাবদিহিতার বাইরে রয়ে গেছে। ওই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে ‘ছাত্র বিক্ষোভ দমন’ শিরোনামে সিভিল সোসাইটি গ্রুপ ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডারস, সিভিকাস ও সাউথ এশিয়ান হিউম্যান রাইটসের (এসএএইচআর) উদ্যোগে গত বুধবার একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এতে ওই সব আন্দোলনে বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনীর মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ ও ধরপাকড়ের পাশাপাশি নির্যাতনের অভিযোগ এবং শিক্ষার্থীদের ওপর বেপরোয়া আক্রমণের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবিতে পথে নামেন। তিন মাস পর জুলাই-আগস্টে সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থী মৃত্যুর জেরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা গণপরিবহনে নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ করে। ওই সব আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের ওপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাত্রাতিরিক্ত বল প্রয়োগ করে। হামলা চালায় ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের কর্মী হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র ব্যক্তিরা। এ সময় আটক ও পুলিশ হেফাজতে অমানবিক নির্যাতন করা হয় বহু শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীকে। সংকুচিত করা হয় বাক-স্বাধীনতা।
বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেন, আন্দোলনকারীদের ওপর সহিংসতার জন্য দায়ী কাউকে বিচারের মুখোমুখি করতে না পারা থেকেই বাংলাদেশে বিচারহীনতার বিষয়টি কত গভীরে প্রেথিত তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে।