এসএসসি পরীক্ষায় নকলে সহযোগিতা না করায় পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং ৯ পরীক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুই পরীক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
রোববার দুপুরে উপজেলার গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে সৈয়দাবাদ এএস মনিরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীদের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।
সৈয়দাবাদ এএস মনিরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আলী মনসুর জানান, তাদের স্কুলের পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্র গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয়ে। ইংরেজি দ্বিতীয়পত্র পরীক্ষা চলার সময়ে গোপীনাথপুর গ্রামের এক যুবক ওই স্কুলের এক পরীক্ষার্থীকে নকল সরবরাহের জন্য মনিরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের এক পরীক্ষার্থীকে বলে।
সেই পরীক্ষার্থী নকল সরবরাহ করতে না চাইলে পরীক্ষা শেষে তাকে মারধর করা হয়। এরপর প্রধান শিক্ষক ওই ছাত্রকে সঙ্গে নিয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছে যান, এবং বিষয়টি জানান। এরপর তারা বাড়ি ফিরে যেতে চাইলে ওই কেন্দ্র অর্থাৎ, গোপীনাথপুর শহীদ বাবুল উচ্চবিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী ও বহিরাগতরা মিলে তাদের ওপর হামলা চালায়।
হামলায় এএস মনিরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং ৯ পরীক্ষার্থীসহ ১০ জন আহত হন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে আহতদেরকে উদ্ধার করে কসবা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সোনিয়া আক্তার ও সাবিকুন্নাহার তন্বী নামের দুই পরীক্ষার্থীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।
এ ব্যাপারে কসবা উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মাসুদুল আলম বলেন-দোষীদেরকে আইনের আওতায় আনার জন্য ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।