দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি ২৭৩০টির মতো প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হয়েছে। এটা খুবই ইতিবাচক। কিন্তু যারা এখনও নন-এমপিও রয়ে গেছেন তাদের সংখ্যাও একেবারে কম নয়। মনে রাখতে হবে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের স্থাপনের অনুমতি, পাঠদান অনুমতি, একাডেমিক স্বীকৃতি সব কিছু দেয় বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট সরকারি প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠান তদারকি করেন উপজেলা শিক্ষা অফিস ও আঞ্চলিক উপ-পরিচালকের কার্যালয়। বুধবার (২১ অক্টোবর) দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় প্রকাশিত চিঠিতে এ তথ্য জানা যায়।
চিঠিতে আরও জানা যায়, সরকারি সব নিয়মশৃঙ্খলা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পালন করতে হয় এসব নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেরও। বোধকরি এসব করণেই সরকার তার দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অনেকেই ভালো রেজাল্ট করে ভাগ্য পরিবর্তন করেন। কিন্তু তাদের শিক্ষকদের ভাগ্যের চাকা ঘোরে না। তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথা বিবেচনা করে ২০১৩ সালে যেমন সব (২৬, ১৯৩টি) রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করা হয়েছিল তেমনি সব নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে একযোগে এমপিওভুক্ত করা দরকার। সঙ্গে সঙ্গে যত্রতত্র স্কুল, কলেজ, মাদরাসা খোলার রীতি বন্ধ করাও দরকার।
বর্তমানে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। যদি দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে জাতীয়করণ করা যায় এর চেয়ে ভালো আর কিছু হতে পারে না। কিন্তু সরকারের আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় যদি এখন তা সম্ভব না হয় তবে মানবিক বিবেচনায় সব নন-এমপিও প্রতিষ্ঠানকে এমপিওর আওতায় আনা জরুরি। বিলাসিতা নয় এসব শিক্ষকদের দুমুঠো ডাল ভাতের ব্যবস্থা করা সরকারের দায়িত্ব।
লেখক : এস.এম মিনহাজ কাদির, মহেশপুর, ঝিনাইদহ।