চার মাস পর নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন চার মাস পর আজ বুধবার (৫ আগস্ট) আদালতে আসেন। তিনি বলেন, চার মাস পর ঢাকাসহ সারা দেশের নিম্ন আদালতের স্বাভাবিক বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চার মাস পর আদালতে এসে খুব ভালো লাগছে।
সরেজমিনে ঢাকার জজকোর্ট এলাকা ঘুরে দেখা গেল, অন্যান্য সময়ের তুলনায় বিচারপ্রার্থী মানুষের সংখ্যা কম। তবে আইনজীবীদের উপস্থিতি অনেক বেড়েছে। সব আদালতের বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আদালত চত্বরে থাকা চায়ের দোকানগুলো ফের খুলতে শুরু করেছে। তবে আজ ঢাকার বিচারিক আদালতগুলোয় কারাগার থেকে কোনো আসামিকে আনা হয়নি।
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম বলেন, আদালতের নির্দেশনা না থাকায় কোনো হাজতখানার আসামিকে আজ আদালতে আনা হয়নি। আদালতের নির্দেশনা পেলে সব আসামিকে আদালতে হাজির করা হবে।
আদালত চত্বর ঘুরে দেখা গেল, আইনজীবীরা বেশির ভাগ মাস্ক পরেই বিচার কার্যক্রমে অংশ নিয়েছেন। ঢাকা আইনজীবী সমিতির দপ্তর সম্পাদক এইচ এম মাসুম বলেন, ‘চার মাস পর আদালতে স্বাভাবিক বিচারিক কার্যক্রম শুরু হওয়ায় আমরা অনেক খুশি। আইনজীবী প্রত্যেকেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিচার কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন, সে ব্যাপারে আমরাও প্রচার চালাচ্ছি।’
ঢাকা আইনজীবী সমিতির সদস্য ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, চার মাস পর বিচার কার্যক্রম শুরু হওয়ায় তারা অনেক খুশি। চার মাস ধরে নিম্ন আদালতের বিচার কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে আইনজীবীরা অনেক সমস্যার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করেছেন। আইনজীবীরা চরম আর্থিক সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন। এখন আদালতের কার্যক্রম স্বাভাবিক হওয়ায় আইনজীবীরা সবাই খুশি।