ফেনীর আলোচিত মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় রোববার (২৫ আগস্ট) মূল তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআই পরিদর্শক শাহ আলম সাক্ষ্য দিয়েছেন। ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে এদিন তাঁর সাক্ষ্যের দ্বিতীয় অংশ লিপিবদ্ধ করা হয়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার তিনি ওই আদালতে সাক্ষ্য প্রদান শুরু করেন।
আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হাফেজ আহাম্মদ বলেন, মূল তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম মামলাটির সর্বশেষ সাক্ষী। এ মামলায় এ পর্যন্ত মোট ৮৭ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। আজ সোমবারও শাহ আলমের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে।
আদালত সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম গত বৃহস্পতিবার মামলাটিতে জব্দ করা নানা আলামতের বিষয়ে বিস্তারিত বর্ণনা দেন। আর গতকাল তিনি ১২ আসামির আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি বিষয়ে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন, আসামিরা দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় জবানবন্দি দেন। আর আসামিরা আদালতে যে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন তদন্তকালে তার সঙ্গে বাস্তবতার মিল পাওয়া গেছে।
শাহ আলম বলেন, এ মামলার তদন্তে নেমে শুরু থেকেই আসামিদের আটক করতে গুপ্তচর নিয়োগ করা হয়।
গুপ্তচরের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে নুর উদ্দিন, মুক্তাগাছা থেকে শাহাদাত হোসেন শামীম, রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে মকসুদ আলম, বসিলা থেকে হাফেজ আব্দুল কাদেরসহ অন্য আসামিদের বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেফতার করা হয়। কয়েকজন আসামির দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অন্য আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।