ফেনীর সোনাগাজীর মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ২৯ জনের সাক্ষ্য নিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত নুসরাতের পরিবার, মাদরাসা শিক্ষক-কর্মচারী, শিক্ষার্থী ও আশপাশের ব্যবসায়ীদের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। এদিকে, হত্যার ঘটনায় ফেনী জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি তিন দফা সময় বাড়িয়েও তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। নুসরাত হত্যায় জড়িতদের বিচার দাবিতে গতকালও সোনাগাজীতে মানববন্ধন করেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা।
পিবিআইয়ের পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম জানান, প্রথমে তদন্ত দল মাদরাসায় নুসরাত হত্যার দিন কর্মরত শিক্ষকদের বক্তব্য রেকর্ড করে। এ সময় শিক্ষকদের মধ্যে মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোহাম্মদ হোসেন, ঘটনার দিন পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব নুরুল আলম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুরুল আমিন, মাদরাসার শিক্ষক মাওলানা আবুল কাসেম, হারুনসহ কর্মচারী ও শিক্ষার্থীদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। এ ছাড়া মাদরাসার সামনের ৩টি দোকানের মালিক-কর্মচারীদের বক্তব্যও গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, তাদের বক্তব্যে বেশ কিছু নতুন তথ্য উঠে এসেছে।
সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হবে। এদিকে নুসরাত হত্যার ঘটনায় জেলা প্রশাসনের তদন্ত প্রতিবেদন এখনও জমা দেওয়া হয়নি। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ওহাহিদুজ্জামান ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রথমে ৩ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন। পরে ৭ দিন সময় বাড়ানো হয়। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক জানান, তদন্ত কমিটি প্রধান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পি কে এম এনামুল করিম ট্রেনিংয়ে থাকায় সময়মতো রিপোর্ট দেওয়া যায়নি।
নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে গতকাল সকালে সোনাগাজীর চর দরবেশপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলের সামনে মানববন্ধন করেছে। তারা নুসরাত হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে।