মাদরাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার যৌন হয়রানীর মামলায় আদালতে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদ। চার্জশিট গ্রহণের পর আগামী ১৭ জুলাই (বুধবার) এ সংক্রান্ত অভিযোগ গঠনের তারিখ ঘোষণা করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) আদালত চার্জশিটটি গ্রহণ করেন। এর আগে গত ৩ জুলাই (বুধবার) ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। ১০ পৃষ্ঠার চার্জশিটে একমাত্র আসামি সিরাজ উদ দৌলা।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পিবিআই ফেনী পরিদর্শক শাহ আলম জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করেন। এ ঘটনায় নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে। পরে পুলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২৭১ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রে চিকিৎসক, পুলিশসহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছেন।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী এম. শাহজাহান সাজু বলেন, নুসরাত জাহান রাফিকে যৌন হয়রানীর মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে পিবিআই।
রাফিকে হত্যার ঘটনার আগে যৌন হয়রানীর মামলায় ১৯ জুন একমাত্র আসামি অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার দুই দিনের রিমান্ড শেষে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তার আগে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহ আলম অধ্যক্ষ সিরাজকে আদালতে হাজির করেন। তারও আগে গত ২২ মে অধ্যক্ষের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।
পিবিআইয়ের চট্টগ্রাম বিভাগের বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল জানান, ২৭ মার্চের যৌন হয়রানির মামলায় সিরাজ উদ দৌলাকে দুই দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। অধ্যক্ষ সিরাজ নুসরাতকে যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করেছে। হত্যা মামলায় সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। সে জবানবন্দিতে ২৭ মার্চ যৌন হয়রানীর বিষয়টি স্বীকার করেছে। যার কারণে এই মামলায় নতুন করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।