নির্মাণের এক বছর যেতে না যেতেই ধসে গেছে নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার খলিশাউড় ইউনিয়নের শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বাঁধ।
নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন, বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্যরা। তাদের অভিযোগ, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাব ও নিন্মমানের কাজ করায় বাঁধ ধসে গেছে। বাঁধ পুননির্মাণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষক, অভিভাবক ও পরিচালনা কমিটির সদস্যরা।
জানা গেছে, জেলার পূর্বধলার খলিশাউড় ইউনিয়নের শিমুলকান্দি এলাকায় শিক্ষা বিস্তারের লক্ষ্যে প্রায় ২০ বছর আগে পুলিশের সাবেক অতিঃ ডিআইজি, আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়কারী মুহাঃ আবদুল হান্নান খান, এলাকার কয়েকজন শিক্ষানুরাগীকে নিয়ে মগড়া নদীর পশ্চিম তীরে মনোরম পরিবেশে শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করেন। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে পরিচালনা কমিটির নিয়মিত মনিটরিং ও শিক্ষকদের আন্তরিকতায় ছাত্র ছাত্রীরা পরীক্ষায় ভাল ফল করে আসছে। নদী ভাঙন থেকে বিদ্যালয়টি রক্ষার জন্য গত বছর নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় প্রায় ৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০২ মিটার প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার অত্যন্ত নিন্মমানের কাজ করে প্রভাব খাটিয়ে বিল তুলে নিয়ে যায়। কাজ শেষ হওয়ার ৬ মাস যেতে না যেতেই প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন দেখা দেয়। এরইমধ্যে বাঁধের বেশ কয়েক জায়গা দেবে গেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, অভিভাবকদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। এলাকাবাসী আরও অভিযোগ করেছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের তদারকির অভাবে বাঁধ নির্মাণ কাজ যথাযথভাবে হয়নি। বিদ্যালয়ের প্রতিরক্ষা বাঁধ পুননির্মাণের দাব জানিয়ে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী বাঁধের পাশে মানববন্ধন করেছেন।
শিমুলকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল কাদির দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘বাঁধের কাজ নিন্মমানের হওয়ায় কাজ শুরুর পর বাধা দেয়া হয়েছিল। ঠিকাদার কোনো কথা শোনেননি। পানি উন্নয়ন বোর্ডকে জানানোর পর বিষয়টি তারা আমলে নেয়নি। এ নিয়ে তারা আমার সাথে রাগারাগি পর্যন্ত করেছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে মানববন্ধন করেছে। আমরা এলাকাবাসী মানসম্মত কাজের দাবি জানাচ্ছি।’
শিমুলকান্দিা বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আমিরুল ইসলাম ও মো. চাঁন মিয়া ক্ষোভের সাথে বলেন, ‘ঠিকাদার, অফিস ম্যানেজ করে ঠিকমত কাজ না করেই বিল উঠিয়ে নিয়ে গেছেন। কাজের মান ভাল না হওয়ার কথা বললেও কেউ আমাদের কথা শোনেননি।’
এ বিষয়ে নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মুহাম্মদ আক্তারুজ্জামান দৈনিক শিক্ষাডটকমকে বলেন, ‘২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের জুনে বিদ্যালয় প্রতিরক্ষা বাঁধের নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। এরইমধ্যে বাঁধের কয়েকটি ব্লক দেবে গেছে। এলাকাবাসী এ নিয়ে মানববন্ধন করেছেন। তবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমাদের জানায়নি। ’