টাকার বিনিময়ে কেন্দ্রের ভেতরের একটি কক্ষ থেকে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নের উত্তর লিখে দেয়ার অপরাধে অধ্যক্ষকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং কেন্দ্র সচিবের পদ থেকে অব্যাহতিসহ ১৩ শিক্ষক-কর্মচারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। জয়পুরহাট সদরের কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রে বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, ওই কেন্দ্রে বুধবার জীববিজ্ঞান বিষয়ে পরীক্ষায় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের ‘সুবিধা’ প্রদানের জন্য বিভিন্ন মাদরাসার ১৩ জন শিক্ষক-কর্মচারী মিলে প্রশ্নের উত্তরপত্র তৈরি করে দিচ্ছিলেন। এ সময় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালনকারী ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মাহবুবুর রহমানসহ অন্য সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে চারজনকে আটক করে। এ সময় বাকি ৯ জন পালিয়ে যান।
আটক চারজন হচ্ছেন কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদরাসার অফিস সহকারী মোহাম্মদ আলী, পিয়ন হুমায়ন কবীর, হাতিগাড়া দাখিল মাদরাসার সহকারী শিক্ষক নূর আলম ও আব্দুর রহিম। পালিয়ে যাওয়া ৯ জন বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক বলে জানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা রহমান পরীক্ষা চলাকালে অননুমোদিতভাবে কেন্দ্রের ভেতরে অন্য শিক্ষকদের প্রবেশ করতে দেওয়ার অপরাধে কড়ই নুরুল হুদা কামিল মাদরাসায় দাখিল পরীক্ষা কেন্দ্রের সচিব ও অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রহমান সরকারকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
পাবলিক পরীক্ষা সমূহ অপরাধ আইন ১৯৮০ এর ১৩ ও ১০ ধারায় কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ আব্দুর রহমান সরকারের বিরুদ্ধে উক্ত সাজা প্রদান করা হয়। এ ছাড়া অধ্যক্ষকে কেন্দ্র সচিব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
পরীক্ষা কেন্দ্র না রাখার বিষয়ে মতামত তুলে ধরে এ ব্যাপারে পরীক্ষা গ্রহণ কমিটিকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতেও নির্দেশনা প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাহমিনা রহমান। ঘটনাস্থল থেকে উত্তর পত্র ও দুইটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনে দোষ স্বীকার না করায় আটক চারজনসহ পালিয়ে যাওয়া ৯ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হয়। একাডেমিক সুপারভাইজার মোহিম উদ্দিন বাদী হয়ে ওই মামলা দায়ের করেন।