নিকলী উপজেলা সদরের পশ্চিম গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের একটি মাত্র সড়ক। উপজেলা পরিষদ হতে পল্লী বিদ্যুৎ অভিযোগ কেন্দ্র হয়ে বিদ্যালয়টির পাশ দিয়ে নিকলী পুরান বাজার ও থানার সঙ্গে সংযুক্ত এই সড়ক। ২০১৬ খ্রিষ্টাব্দে এলজিইডি-হিলিপ প্রকল্পের অধীন পরীক্ষামূলক এই সড়কটি ব্লক পদ্ধতিতে নির্মাণ শুরু করে। প্রথম থেকেই ধসতে শুরু করলেও মেরামতের কোনো উদ্যোগ নেয়নি হিলিপ। ভাঙা সড়ক দিয়েই যাতায়াত করে এলাকাবাসী ও পশ্চিম গ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২ শতাধিক শিশুসহ স্কুল, কলেজের সহস্রাধিক শিক্ষার্থী।
অনেকেই জানে না সাঁতার। বুক সমান পানি ভেঙে স্কুলে যেতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। তাই অভিভাবকরা নিষেধ করেছেন স্কুলে যেতে। কিশোরগঞ্জের পশ্চিম নিকলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশ সড়কটি ধসে যাওয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ঈদুল ফিতরের একদিন আগে টানা ও ভারি বৃষ্টিতে সড়কটির কয়েক জায়গা ধসে যায়। দুপাশে পুকুর হওয়ায় বিদ্যালয়টিতে প্রবেশ অংশটি পানিতে তলিয়ে যায়। মাইজহাটি গ্রামের স্বাধীন মিয়া বলেন, আমার ছোট ছেলেটি শিশু শ্রেণিতে পড়ে। সাঁতার জানে না। পানিতে ডুবা ও পিচ্ছিল পথ দিয়ে যাতায়াত বড়দের জন্যই সমস্যা। দুর্ঘটনার ভয়ে স্কুলে যেতে নিষেধ করেছি।
এমন অভিযোগ অনেক অভিভাবকের। বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আইয়ুব আলী জানান, আমাদের প্রায় দুইশ’ ছাত্র-ছাত্রী। পারাপারের সময় শিক্ষকরা দাঁড়িয়ে থাকি। যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে।
তিনি আরও জানান, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
নিকলী উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ইসলাম উদ্দিন বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। রাস্তার বিষয়ে আমাদের করার কিছু নেই। সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে সড়কটি মেরামতের কথা জানাবো।
নিকলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীনা আক্তার বলেন, প্রথম শুনলাম। সরেজমিন দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।