প্রচলিত শিক্ষা পুনঃনির্মাণ করার সুযোগ ত্বরান্বিত করছে করোনা - দৈনিকশিক্ষা

প্রচলিত শিক্ষা পুনঃনির্মাণ করার সুযোগ ত্বরান্বিত করছে করোনা

মাছুম বিল্লাহ |

করোনার ভয়ে বিশ্বের অধিকাংশ দেশের শিক্ষার্থীর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছে না। তাদের জীবনে এর প্রভাব হবে দীর্ঘমেয়াদি। বিভিন্ন সূত্রের বরাতে প্রকাশিত একাধিক তালিকা অনুযায়ী চীনে সবচেয়ে বেশি শিশু-কিশোর স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। চীনে ২৩ কোটি ৩০ লাখ এবং বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ কোটি শিক্ষার্থী স্কুল-কলেজ-মাদরাসা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যাচ্ছে না। ইন্দোনেশিয়া ও পাকিস্তানও তালিকার ওপরের দিকেই রয়েছে। 

বাংলাদেশে সেই ১৭ মার্চ থেকে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শুরু হয়েছে ভার্চুয়াল ক্লাস, অর্থাৎ বিকল্প উপায়ে পাঠদান। যদিও এটি কোনোভাবেই সরাসারি পাঠদানের বিকল্প নয়। কিন্তু কিছু তো একটা করতে হবে? প্রশ্ন উঠছে- তাহলে কভিড-১৯ মহামারি কি বিশ্বব্যাপী প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা পুনঃনির্মাণ করছে? দীর্ঘ ও অনিশ্চিত এই বন্ধের সময়ে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি কমাতে কিছু বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ এবং দু’একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের দু’একটি বিভাগ শুরু করেছে অনলাইন টিচিং। কিন্তু কিছুদিনের মধ্যে তাও বন্ধ হয়ে গেছে।

অনলাইনে বিনা মূল্যে ডিজিটাল ক্লাসরুম ‘জুম’ ব্যবহার করে ক্লাস নেয়া, অ্যাসাইনমেন্টসহ পুরো ক্লাসের কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করেছে অনেকে। সব মিলিয়ে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে শিক্ষাব্যবস্থায় হঠাৎ করেই অভাবনীয় এক পরিবর্তন শুরু হয়েছে। বাংলাদেশও এই পরিবর্তিত উপায়ে শিক্ষাদানের চেষ্টা করছে।  যদিও দৈনিক শিক্ষায় প্রকাশিত একাধিক প্রতিবেদনে দেখলাম যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্কুলে জুম পদ্ধতি হ্যাকারের কবলে পড়েছে। নুড ছবি চলে আসে পাঠদানের মধ্যে।  

জেনেভাভিত্তিক ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম বলছে, চীনের প্রায় বার কোটি শিক্ষার্থী সরাসরি টেলিভিশন সম্প্রচার থেকে বাড়িতে বসেই তাদের শেখার উপাদানগুলো পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি শীর্ষস্থানীয় শিক্ষামূলক উদ্ভাবক মিনার্ভা প্রজেক্টের কর্মকর্তা গ্লোরিয়া ট্যাম বলেন, ‘করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্তগুলো লাখ লাখ শিক্ষার্থীকে অস্থায়ী হোম স্কুলিংয়ের পরিস্থিতিতে নিয়ে গেছে। বিশেষ করে চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, ইতালি ও ইরানের মতো প্রবল আকারে ভাইরাস প্রভাবিত দেশগুলোকে। এ পরিবর্তন অবশ্যই কিছুটা অসুবিধার কারণ হয়েছে তবে, শিক্ষার নতুন এ উদ্ভাবনকে আমরা উৎসাহিত করছি।’

লকডাউন অঞ্চলের বেশির ভাগ বিদ্যালয় শিক্ষা প্রক্রিয়া চালিয়ে যাওয়ার পথ খুঁজছে। সেক্ষেত্রে সবচেয়ে ভালো এবং বলা যায় একমাত্র সমাধান ডিজিটাল শিখণ প্রক্রিয়া। তবে এ প্রক্রিয়ায় শিক্ষার গুণগত মান ও  ডিজিটাল অ্যাকসেস-এর বিষয়টি খুব গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বের প্রায় ৬০ শতাংশ মানুষের  ডিজিটাল অ্যকসেস রয়েছে। এটিই হচ্ছে ডিজিটাল শিখণ প্রক্রিয়ার বড় বাধা। কারণ চল্লিশ শতাংশকে আমরা ছুঁতে পারছি না, ডিজিটাল শিখনের আওতায় আনতে পারছি না। বাংলাদেশে শুরু হওয়া টেলিভিশনের মাধ্যমে পাঠদান দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছাচ্ছে না।

ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য রয়েছে প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়। কিন্তু কোনো কোনো এলাকায় ৪৫ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী এর আওতায় আসছে না। কারণ তাদের অনেকের বাসায়ই টিভি নেই, টিভি আছে তো ডিস নেই, ডিস আছে তো বিদ্যুৎ নেই, বিদ্যুৎ আছে তো চ্যানেলের সমস্যার কারণে কোথাও ছবি দেখা যায় না, কোথাও কোথাও শব্দ শোনা যায় না। কোনো কোনো এলাকায় ৩০ শতাংশেরও কম শিক্ষার্থী এই ক্লাসগুলো দেখতে পারছে না। এটি ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচির মাঠ পর্যায় থেকে নেয়া তথ্য। আর তাই, বিশেষজ্ঞরা বলছেন শিক্ষাব্যবস্থা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় নিয়ে গেলে বিশ্বব্যাপী ডিজিটাল বিভাজন প্রকট আকার ধারণ করবে। তার বাস্তব প্রমাণ তো আমরা পেয়েই যাচ্ছি। এক্ষেত্রে হংকংয়ের ভার্চুয়াল ক্লাসগুলো আদর্শ হতে পারে। স্বল্পোন্নত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা লাইভ ক্লাস করতে না পারলেও সেগুলো হোয়াটসঅ্যাপ বা ই-মেইলের মাধ্যমে চালাচালি করে শিখণ প্রক্রিয়াটা এগিয়ে নেয়া যাবে। তারপরও ডিজিটাল অ্যাকসেসে এগিয়ে থাকা পরিবারগুলোর শিক্ষার্থীদের তুলনায় ডিজিটালি পিছিয়ে থাকা অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা অনেক পিছিয়ে যাবে।

শিক্ষা কার্যক্রম অনলাইনে স্থানান্তরিত হলে ডিজিটাল ডিভাইস ও ডাটা প্ল্যানের ব্যয় মেটাতে না পেরে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাব্যবস্থা থেকে ঝরে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তাই পুরো বিশ্বের ডিজিটাল অ্যাকসেস ব্যয় হ্রাস ও ডিজিটাল সেবার গুণমান বৃদ্ধি করা না হলে শিক্ষার মানের ব্যবধান এবং একইভাবে আর্থসামাজিক সমতার ব্যবধান আরও বাড়িয়ে তুলবে। আর এতে ডিজিটাল বিভাজন চরম আকার ধারণ করতে পারে। হংকংয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, প্রকাশক, মিডিয়া, বিনোদন শিল্পের পেশাদার ভিডিও, বই মূল্যায়নের সরঞ্জাম ও ঘরে বসে শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পরামর্শ দেয়ার জন্য ৯০০টি শিক্ষাগত উপকরণ সরবরাহ করতে একত্র হয়েছেন। ডিজিটাল ডিভাইস ও ডাটা প্ল্যানের ব্যয় মেটাতে পারে না এমন অনুন্নত অঞ্চলে ডিজিটাল শিখণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে সরকার ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম। অন্যথায় ডিজিটাল বিভাজন আরও চরম আকার ধারণ করতে পারে, এমন আশঙ্কা রয়েছে। 
 
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি চীনের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর ঝেজিং বিশ্ববিদ্যালয় দূরবর্তী শিক্ষার মাধ্যমে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর  পর্যায়ের পাঁচ হাজারের বেশি কোর্স পরিচালনা করছে। ‘দ্য কোর্স হাব’ নামের লাইভ ট্রিমিং অ্যাপের মাধ্যমে এ কোর্সগুলো পরিচালনা করা হচ্ছে। সাইটটিতে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ৭০ হাজার ভিজিট হয়েছে এবং এটি তিন লাখ শিক্ষার্থী রেকর্ড করেছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়টি আশা করছে আড়াই হাজার গ্র্যাজুয়েট কয়েক মাস ধরে অনলাইনে তাদের থিসিসগুলোর কাজ চালিয়ে যাবে। প্রক্রিয়াটির গুণমান নিশ্চিত করতে তিন হাজার ৬৭০ জন ফ্যাকাল্টি মেম্বারদের একাধিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এগুলো আমাদের জন্য এক বিশাল লার্নিং। আমরা পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো এ ধরনের ভাবনা কতটা ভাবছি? এ ব্যবস্থার নেতিবাচক প্রভাব অর্থাৎ ডিজিটাল ব্যবধান বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার অনুষদ ও শিক্ষার্থীদের ডাটা প্ল্যানে ভর্তুকি দেয়ার জন্য কয়েকটি নেটওয়ার্ক সরবরাহকারীর সঙ্গে চুক্তিও করেছে। ক্লাসগুলো লাইভ স্ট্রিমিং করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ২০০টি স্মার্ট ক্লাসরুম স্থাপন করা হয়েছে।

স্মার্ট ক্লাসরুমের কথা আমরা শুনি, আমাদের দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক লেভেলে এ ধরনের ক্লাসরুম নেই বললেই চলে।  

ডিজিটাল ক্লাসরুমের কথা আমরা প্রায় শুনে থাকতাম কিন্তু এর প্রকৃত রূপ সাধারণের কাছে পৌঁছায়নি। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট প্রযুক্তির এই যুগেও বিষয়টি নিয়ে খুব একটা মাথা ঘামায়নি বড় বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা শিক্ষা নিয়ে যারা কাজ করে তারাও। বেশির ভাগ শিক্ষক-শিক্ষার্থী এটা গ্রহণ করতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। তবে, কভিড-১৯ রোগের প্রাদুর্ভাব যেন এ প্রক্রিয়াকে তরান্বিত করেছে। ধনী-দরিদ্র, প্রযুক্তিতে এগিয়ে থাকা ও পিছিয়ে থাকা সকল দেশই চাচ্ছে তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রক্রিয়ায় জড়িত রাখতে। এই পরিস্থিতিতে সেটি সম্ভব শুধুামাত্র ভার্চুয়াল ক্লাস কিংবা ডিজিটাল ক্লাস যাই বলি না কেন, যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছানো। এই অপ্রত্যাশিত বৈশ্বিক মহামারি শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ, সৃজনশীল সমস্যা সমাধান এবং সর্বোপরি অভিযোজন যোগ্যতা সম্পর্কে  প্রয়োজনীয় দক্ষতা বৃদ্ধির কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এমনভাবে ঢেলে সাজাতে হবে যাতে  শিক্ষার্থীরা এই দক্ষতাগুলো সহজেই অর্জন করতে পারে। 

করোনা ভাইরাস এখন মানবসভ্যতার জন্য এক বিরাট চ্যালেঞ্জ, যা মোকাবেলা করতে বড় বড় শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোও কুপোকাত হয়ে পড়ছে। কারণ কেউই এর জন্য প্রস্তুত ছিল না। আর আমাদের মতো গরীব দেশের কথা তো আলাদা। এর প্রভাব বহুমাত্রিক হবে। শিশুরা যখন শ্রেণিকার্যক্রমের বাইরে থাকে, শারীরিকভাবে তখন তারা কম সক্রিয় থাকে। কারণ অনেক সময় তারা টিভি কিংবা কম্পিউটার কিংবা মোবাইল নিয়ে বসে থাকে। যা তার ঘুম, খাওয়া-দাওয়া ও নিত্য-নৈমিত্তিক অভ্যাসের ওপর দারুন এক নেগেটিভ প্রভাব ফেলে। শিশু তো তার খেলার সাথীদের সাথে মিশতে, গল্প করতে, খেলতে এবং কোনোকিছু শেয়ার করতে পারছে না। এগুলো তার মনস্তত্বের ওপর প্রভাব ফেলে। তারা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। যেসব শিশুরা খোলামেলা অবস্থায় থাকে, খেলাধুলা করে তাদের চেয়ে যারা গৃহবন্দি থাকে তাদের মধ্যে স্ট্রেস ডিসঅর্ডার জাতীয় সমস্যা চারগুণ বেশি হয়ে থাকে বলে মনস্তত্ত্ববিদরা বলেছেন। শিশুর জীবন আচরণের পরিবর্তন ও গৃহবন্দিত্ব তার মনোজগতে যে মিথস্ক্রিয়া তৈরি করে তা শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাবকে আরও বাড়িয়ে তোলার সম্ভাবনা তৈরি করে। 

তাই শিক্ষা উপকরণের সাথে নিয়মিত ঘুম, আনন্দ দানের জন্য কিছু খেলাধুলা যেটি স্বল্প পরিসরে করা সম্ভব, গল্পের বই পড়া, টিভি দেখাসহ মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য কিছু উপকরণের কথাও প্রচার করা উচিত বিভিন্ন চ্যানেলে, অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে। এ কাজগুলোর দিকে মায়ের সাথে এখন বাবা কিংবা বড় ভাইবোন খোঁজ-খবর রাখতে পারেন। বাবারা তো আগে দিনের বেলায় শিশুদের অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সময় দিতে পারতেন না, সেই সুযোগটি কিন্তু এখন তৈরি হয়েছে। অতএব, তা কাজে লাগাতে হবে। এতে পারিবারিক বন্ধন আরও দৃঢ় হবে, শিশুরা তাদের মানসিক পুষ্টি বৃদ্ধির উপায় খুঁজে পাবে। শিশুদের উদ্বিগ্ন হতে দেয়া যাবে না। তারা যাতে আতঙ্কিত না হয় করোনা নিয়ে সে ধরনের আচরণ করতে হবে পরিবারের সবাইকে। তাদের ভয় না দেখিয়েও এ ব্যাপারে তাদের সিরিয়াস করা যায়। গল্পের বই পড়তে দেয়া, বন্ধু বান্ধবদের সাথে অনলাইন কিংবা মোবাইলে যোগাযোগ করতে দিলে কিছুটা হলেও তাদের একাকীত্ব ও গৃহবন্দিত্বের রেষ কেটে যাবে। 

লেখক : মাছুম বিল্লাহ, ব্র্যাক শিক্ষা কর্মসূচিতে কর্মরত ভাইস-প্রেসিডেন্ট, বাংলাদেশ ইংলিশ ল্যাংগুয়েজ টিচার্স এসোসিয়েশেন (বেল্টা) এবং সাবেক ক্যাডেট কলেজ, রাজউক কলেজ ও উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক।

স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও - dainik shiksha স্কুল-কলেজ খুলছে রোববার, ক্লাস চলবে শনিবারও নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী - dainik shiksha নারীদের আইসিটিতে দক্ষ হতে হবে: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল - dainik shiksha ডিগ্রি তৃতীয় শিক্ষকদের এমপিওভুক্তির সভা ৩০ এপ্রিল সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি - dainik shiksha সনদের কাগজ কীভাবে পায় কারবারিরা, তদন্তে নেমেছে ডিবি কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে - dainik shiksha কওমি মাদরাসা : একটি অসমাপ্ত প্রকাশনা গ্রন্থটি এখন বাজারে দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে - dainik shiksha দৈনিক শিক্ষার নামে একাধিক ভুয়া পেজ-গ্রুপ ফেসবুকে বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ - dainik shiksha বুয়েটে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়লো হিজবুত তাহরীরের লিফলেট বিতরণ সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি - dainik shiksha সাংবাদিকদের ঘুষ বিষয়ক ভাইরাল ভিডিও, ইরাব কোনো বিবৃতি দেয়নি ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা - dainik shiksha ফাঁসপ্রশ্নে প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ, নজরদারিতে যারা এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস - dainik shiksha এইচএসসির ফল জালিয়াতির অডিয়ো ফাঁস please click here to view dainikshiksha website Execution time: 0.0075430870056152