বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে স্কুলের ১২টি গাছ কেটে বিক্রি ও ৪০ বান্ডিল ঢেউটিন বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। এলাকার স্থানীয় লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, দুর্নীতি দমন কমিশন, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দিন কতিপয় ব্যক্তির যোগসাজশে টেন্ডার ছাড়াই অত্র বিদ্যালয়ের ৪০ বান্ডিল ঢেউটিনসহ ১২ গাছ গোপনে বিক্রি করে অর্থ আত্মসাৎ করেছে। বিক্রয়কৃত ঢেউটিনের মূল্য আনুমানিক এক লাখ বিশ হাজার টাকা এবং গাছের মূল্য আনুমানিক এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
এছাড়া প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের বেতনের ব্যাংকে গচ্ছিত প্রায় ৩ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। বিদ্যালয়ের টিন ও গাছ বিক্রির বিষয়ে অভিভাবকসহ সুধীজন কেউ জানেন না। প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত করলে বিদ্যালয়ের আরো অনিয়ম-দুর্নীতি বেরিয়ে আসবে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই বিদ্যালয়ের উন্নয়নের স্বার্থে তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের শাস্তির দাবি জানান তারা।
জানতে চাইলে কড়ইহাট বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রইচ উদ্দিন বলেন, টেন্ডার করা হয়নি তবে এলাকায় মাইকিং করে কমিটির সিদ্ধান্ত নিয়ে ঢেউটিন বিক্রি করা হয়েছে। গাছগুলো ঝড়ে ভেঙে পড়েছিল। সেই গাছগুলো বিক্রি করেছি। বিক্রিয়কৃত টাকা বিদ্যালয়ে ফান্ডে জমা রাখা হয়েছে। ব্যাংক থেকে টাকা তুলে শিক্ষকদের বেতন দেয়া হয়েছে। এখানে কোনো আত্মসাৎ করা হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শারমিন আখতার বলেন, অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।